করিনা নয়, এই নামই রেখেছিলেন দাদু রাজ কাপুর
করিনা কাপুরের নাম দাদু রাজ কাপুর প্রথম রেখেছিলেন সিদ্ধিমা, যদিও তাঁর এই নামটা স্থায়ী হয়নি। করিনার জন্মের আগে তাঁর মা ববিতা কাপুর টলস্টয়ের লেখা খ্যাতনামা 'আন্না করেনিনা' বইটি পড়ছিলেন, সেখান থেকেই ববিতা কাপুর তাঁর ছোট কন্যার নাম করিনা কাপুর রাখেন। করিনার ডাক নাম বেবো অবশ্য বাবা রণধীর কাপুরের দেওয়া।
বি-টাউনে ফিটনেস ফ্রিক বলেই পরিচিত করিনা। যদিও হয়ত অনেকেই জানেন না করিনা ভীষণই খেতে ভালোবাসেন। তবে করিনা প্রাচীন ভারতীয় যোগশাস্ত্রের উপর বিশ্বাসী। মা হওয়ার পর পরিমিত খাবার ও যোগার জন্যই ফের আগের চেহারায় ফিরেছেন করিনা। এরজন্য নির্দিষ্ট যোগা প্রশিক্ষকের সাহায্য নিয়েছেন বেবো। ৫০টিরও বেশি সূর্য নমস্কার শিখেছেন করিনা, প্রতিটি যোগা তিনি টানা ৩০ সেকেন্ড করে তিনি অভ্যাস করেছেন নিয়মিত।
মুম্বইয়ের মিঠিবাই কলেজে বানিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন করিনা, পরে বিভাগ পরিবর্তন করে তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীকালে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রো কম্পিউটার নিয়ে ৩ মাসের কোর্স করেন।
মাঝে মধ্যেই করিনাকে ম্যানিকিউর করতে হয় কারণ তাঁর নোখ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।
শাহিদ কাপুরের সঙ্গে প্রেম করার সময় করিনা আমিষ খাওয়া পরিত্যাগ করেছিলেন। কারণ শাহিদ কাপুর নিজে নিরামিষাশী, তিনিই করিনাকে নিরামিষ খাওয়া অভ্যাস করিয়েছিলেন।
২০০৪ সালে দেব ছবির জন্য গায়িকা হয়েছিলেন করিনা, 'যব নেহি আয়েথে তুম' গানটি গান করিনা।
বিশ্বাসঘাতকতার ভীষণ বিপক্ষে করিনা। ২০০৭ সাল থেকে সইফ আলি খানের সঙ্গে প্রেম করছিলেন করিনা। টানা পাঁচ বছর লিভ-ইন করার পর ২০১২ সালে সইফ আলি খানকে বিয়ে করেন করিনা। অথচ অনেকেই হয়ত জানেন না বিয়ের আগে থেকেই বহু হোটেলে তিনি আর সইফ মিস্টার খান, মিসেস খান বলেই সই করেছেন। বিয়ের পর বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে করিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি একবার বলেন, আমার সঙ্গে কেউ এমনটা করলে তাঁকে আমি 'মেরে'ই ফেলবো।