Happy Guru Purnima 2021: জীবনের সকল অন্ধকার দূর করে আলোর সন্ধান দেন যিনি, জীবনের গুরু তিনিই
Happy Guru Purnima 2021: আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় Guru Purnima, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে গুরু পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই তিথিতেই মুণি পরাশর ও সত্যবতীর ঘরে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এই দিনে মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম জয়ন্তীও পালন করা হয়। অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্ম মতে, বোধিজ্ঞান লাভের পরে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় সারনাথে প্রথম শিষ্যদের উপদেশ দেন গৌতম বুদ্ধ।
কথিত রয়েছে, ''গুরু' শব্দটি 'গু' এবং 'রু' এই দুটি সংস্কৃত শব্দ দ্বারা গঠিত। 'গু' শব্দের অর্থ 'অন্ধকার' বা 'অজ্ঞতা' এবং 'রু' শব্দের অর্থ 'অন্ধকার দূরীভূত করা'। 'গুরু' শব্দটি দ্বারা এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করা হয় যিনি অন্ধকার দূরীভূত করেন, অর্থাৎ যিনি অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যান তিনিই গুরু।
মনের সব সংশয়, সন্দেহ, অন্ধকার দূর করেন এবং নতুন পথের দিশা দেখান গুরু। তাই এই দিন অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত এবং এর মাহাত্ম্য অনেক।
Guru Purnima হল একটি বৈদিক প্রথা, যার মধ্য দিয়ে শিষ্য তাঁর গুরুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে থাকেন। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় এই শুভ দিন।
কথিত রয়েছে, ভারত হল ঋষি-মুনিদের দেশ, যেখানে তাঁদের ঈশ্বরতুল্য বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, ভক্তদের প্রতি ভগবান রুষ্ট হলে গুরুই রক্ষার পথ দেখাতে পারেন।
কথিত আছে, প্রাচীনকাল থেকেই এই দেশে গুরুদের সম্মানজনক স্থান দেওয়া হয়েছে। গুরুর দেখানো পথে চললে, কোনও ব্যক্তি শান্তি, আনন্দ ও মোক্ষ প্রাপ্ত করতে পারেন। গুরুর দেখানো পথে চললে, কোনও ব্যক্তি শান্তি, আনন্দ ও মোক্ষ প্রাপ্ত করতে পারেন। তাই গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়ে আসছে।
এই দিন যে শ্লোকের মাধ্যমে গুরু পূর্ণিমাতে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় তা হল "গুরুব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেবো মহেশ্বর, গুরুরেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ"। অর্থাৎ জীবনে গুরুই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। তিনিই আমাদের সৃষ্টি, স্থিতি, লয়ের পরম ব্রহ্মজ্ঞান দান করেন। সেই গুরুর উদ্দেশ্যে প্রণাম।"
যাঁরা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী তাঁদের অনেকেরই এই দিনটি পালন করেন। গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়ে আসছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই পূর্ণিমায় গুরুর পূজার্চনা করলে অক্ষয় আশীর্বাদ মেলে। তবে শুধুই ধর্মের দিক থেকেই নয় যিনি জীবনের সকল অন্ধকার দূর করে আলোর সন্ধান দেন, জীবনের গুরু তিনিই। সব সংশয় কাটিয়ে নতুন পথের দিশা দেখানো সেই গুরুদের আজ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে পারেন মনের ভক্তি ও বার্তা দিয়ে।