Happy Teachers` day 2022: রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত, ভারতে রাষ্ট্রপতি, শিক্ষাজগতের জ্যোতিষ্ক! এক কৃতী পুরুষ রাধাকৃষ্ণণ
এ হেন দার্শনিক তথা দর্শনের অধ্যাপক রাধাকৃষ্ণণ ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত ভারতের উপরাষ্ট্রপতিত্বের দায়িত্ব সামলান। তিনিই ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হন। তিনি ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। তিনি ভারতে রাষ্ট্রপতি থাকেন ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত।
কিন্তু এখানেই তাঁর কর্মপরিসর সীমাবদ্ধ হয়ে যায় না। তিনি আদি সোভিয়েট ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন এর আগেই। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত।
কিন্তু আদতে তো তিনি শিক্ষাজগতের মানুষ। সেই জগতেও তিনি অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ করেছেন। তবে সেটা আরও আগে। দেশের সাংবিধানিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করার আগের পর্বে।
তিনি একজন অসাধারণ চিন্তক ও লেখকও। ভারতীয় দর্শনের উপর এক প্রামাণ্য গ্রন্থ তিনি রচনা করেছিলেন। সেটি ছাড়াও আরও নানান ক্ষেত্রে তাঁর কলম অবদান রেখে গিয়েছে। তাঁর রচিত বইগুলির কয়েকটি-- 'রেইন অফ রিলিজিয়ন ইন কনটেম্পোরারি ফিলোজফি' 'ফিলজফি অফ রবীন্দ্রনাথ টেগোর' 'দ্য হিন্দু ভিউ অফ লাইফ' 'কল্কি অর দ্য ফিউচার অফ সিভিলাইজেশন' 'অ্যান আইডিয়ালিস্ট ভিউ অফ লাইফ' ইত্যাদি।
রাধাকৃষ্ণণের কাজকে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে মরণোত্তর 'ভারতরত্ন' দেওয়া হয়েছিল।
তাঁর বিপুল রচনার মধ্যে অনেক মণিমুক্তোই ছড়িয়ে আছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি কথা এখনও আমরা মনে করতে পারি। যেগুলি আজও আমাদের আলোকিত করে, আমাদের ভাবায়, আমাদের সমৃদ্ধ করে। 'দ্য ওয়র্স্ট সিনার হ্যাজ আ ফিউচার, ইভেন অ্যাস দ্য গ্রেটেস্ট সেন্ট হ্যাজ হ্যাড আ পাস্ট। নো ওয়ান ইজ সো গুড অর ব্যাড অ্যাজ হি ইমাজিনস'। কিংবা 'ইট টেকস সেঞ্চুরিজ টু মেক আ লিটল হিস্টরি; ইট টেকস সেঞ্চুরিজ টু মেক আ ট্র্যাডিশন'।