পাতে চোদ্দো শাক! গুণাগুণ জানলে এমনিই খাবেন...

Soumitra Sen Tue, 07 Nov 2023-6:44 pm,

১৪ পুরুষের স্মরণে কালি পুজোর আগের দিন পালন করা হয় ভূত চতুর্দশী। সেইদিনই খাওয়া হয় চোদ্দো শাক। কিন্তু জানেন কী যে এই ১৪ টি শাকের গুণাগুণ পাওয়া যায় একটি পদেই। জেনে নিন, চোদ্দো শাক খাওয়ার একাধিক গুণাগুণ।

ওলের কন্দ অর্শ, প্লিহার বৃদ্ধির রোগ  ও রক্তআমাশার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

এবং অপরদিকে রক্ত পরিষ্কার করে ফলে কোনও রোগ কাছে ঘেঁষতে পারেনা৷ অত্যন্ত পুষ্টিকর, ভিটামিন সি আছে এই শাকে ৷ পাশাপাশি দামে সস্তা খেতেও ভাল ৷

বেথো শাকে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লোহা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্ক থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তাল্পতা, অম্বল, কৃমি,  মুখে ঘা, ত্বকের রোগ, বাত ও অর্শ প্রতিরোধে এই শাক খুব উপকারী।

ভিটামিন কে, ভিটামি সি এবং ভিটামিন ই এবং ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও লোহার সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে সরষে শাকও খুব ভালো।

অ্যালার্জি, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর, ও ক্ষত নিরাময়ে কালকাসুন্দির পাতার রস ব্যবহৃত হয়।

এবং জয়ন্তী শাকের কচি সবুজ টাটকা পাতা, দরাময়, বহুমূত্র, শ্বেতি, কৃমিনাশ, ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় কাজ করে।

 

নিম গাছের ভোজ্য অংশ হিসেবে  কচি পাতা ও ফুল অধিক ব্যবহৃত । নিম পাতা বা পাতার রস কুষ্ঠ, চর্মরোগ, বহুমুত্র রোগের অন্যতম ওষুধ।

অপরদিকে হিঞ্চে শাক নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে। এই শাকে যথেষ্ট অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে তাই রোগপ্রতিরোধী ভূমিকা রয়েছে। মাথার যন্ত্রণায় মাথায় এই শাক বেটে লাগালে যন্ত্রণা কমে। তাছাড়াও এঅ শাক নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমে।

সজনে পাতায় দরকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে। ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ আছে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতগুলো নিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, সজনে পাতা একটি খুবই উপকারী পাতা।

ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে পলতা শাক ব্যবহার হয়। এই পাতা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়াও খিদে ও হজমশক্তি বাড়ায়।  ক্ষতস্থানে পটল পাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি সারে।

ডায়াবেটিস, যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বাত, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হেপাটাইটিস, পেপটিক আলসার, গনোরিয়া, সিফিলিস, শোথ, জ্বর ইত্যদি নানা রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় গুলঞ্চ ব্যবহৃত হয়। এই শাক খেলে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি পায় ।

লিভারের সমস্যা, চুল পড়া, হাঁপানি, সর্দিকাশি, চর্মোগ-সহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভাটপাতা ব্যবহার করা হয়৷

মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াতে ও বাচ্চাদের পেটের রোগ সারাতে শুলফো শাক খুব উপকারী। এছাড়াও চোখের রোগ, চোখে ঘা, পুরানো ক্ষত, জ্বর, ইত্যদি রোগের নিরাময়ে এই শাক খুবই কার্যকর।

নিদ্রাহীনতায় যাঁরা ভোগেন তাঁদের নিয়মিত শুষনি শাক খেলে কাজ দেয়। এ ছাড়া নিয়মিত এই শাক খেলে মাথার যন্ত্রণা, তীব্র মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথা, পায়ের পেশির অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন, বাত, জিভে ও মুখে ক্ষত, চর্মরোগ ইত্যদি দূর হয়।

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link