Healthy diet : এলেবেলে শাকেই লাখ টাকার গুণ!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কচুর তো এমনি এমনিই এত বদনাম। কাজ ঠিক করে না হলে, 'ধুর কচু', একটু বদমাইশি করলেই, 'কচু কোথাকার'! কিন্তু এবার থেকে কেউ কচু বললে একদম গায়ে মাখবেন না। কারণ কচুর আছে অনেক গুণ। আর এত গুণ থাকা সত্বেও কচুর কিন্তু কোন ঘ্যাম নেই। মাঠে-ঘাটে, ক্ষেতে-বিলে যেখানে সেখানে বিনা যত্নে কচু গাছ হয়। এবার থেকে কাউকে কচু বলার আগে জেনেই নিন, এই কচুর কত গুণ!
কচুতে ভিটামিন ও খনিজ ভরপুর। শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাবে হওয়া যেকোন রোগের ক্ষেত্রে কচু শাক জাদুর মতো কাজ করে। কচু রাতকানা, চোখে ছানি পড়ার মতো বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমায়। দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়।
আমাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে ডাক্তার কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন কারণ কচু আয়রনের ভাল উৎস। তাই কচু খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। ভিটামিন এ-এর পাশাপাশি ভিটামিন বি ও ভিটামিন সিও আছে। মুখ ও ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এই ভিটামিনগুলি খুব দরকারি।
কচুশাক খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও কচুতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়ামও হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সাধারণত হজমের সমস্যা থেকেই দেখা যায়। কচু শাকে আছে ফাইবার যা খাবারকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
কচু শাকে উপস্থিত আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে শরীরে অক্সিজেনের সংবহন পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। এছাড়াও কচুতে ভিটামিন কেও আছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
কচুতে একাধিক পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ থাকায় শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এমনকি নিয়মিত কচুশাক খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
ভিটামিন সি ত্বকের ক্ষত সারাতে কার্যকারী। এই কারণেই ডাক্তার শিশুদের কচু শাক খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
শুধু ভিটামিন না, কচুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ফসফরাস। এই সবকটি উপাদান আমাদের শরীরের দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করার পাশাপাশি গঠনেও সাহায্য করে।
তা হলে, কচুর কত গুণ দেখলেন! যেহেতু কচু শাক খুব সহজেই এবং স্বল্প দামে পাওয়া যায়, সেহেতু ডাক্তার গর্ভবতী নারী ও শিশুকে নিয়মিত এই কচু খাওয়ার পরামর্শও দেন।