অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অভিজ্ঞতা কেমন! জানালেন পুনের দুই স্বেচ্ছাসেবক
কোনও ভাবেই রোখা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ ভাইরাস। হন্যে হয়ে খুঁজেও ভরসাযোগ্য কার্যকরি প্রতিষেধকের দেখা এখনও মেলেনি। সেখানেই আশা যোগাচ্ছে অক্সফোর্ডের Covishield।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের পুনেতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুই স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এই প্রতিষেধক।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ওই দুই স্বেচ্ছাসেবক জানান, তাঁরা তাঁদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতেই এই মহৎ উদ্যোগে সামিল হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের কথা শুনে তাঁদের বিশ্বাস, এই প্রতিষেধকই করোনাভাইরাসকে রোখার একমাত্র উপায়। তাই তাঁরা এই প্রক্রিয়ায় সামিল হয়েছেন।
এখন এই প্রতিষেধকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এরপর তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ইতিবাচক ফলাফল হাতে আসার পরেই এই প্রতিষেধকের বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য এখনও অন্তত ৪-৬ মাস সময় লাগবে সম্পূর্ণ পরীক্ষার ফলাফল হাতে আসতে। অর্থাৎ, নতুন বছরের শুরুতে বাজারে আসতে পারে অক্সফোর্ডের করোনার প্রতিষেধক।
রাশিয়া প্রথম করোনা প্রতিষেধক Sputnik-V বাজারে আনলেও একে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। তাই ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন (Covaxin), জাইডাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila) এবং অক্সফোর্ডের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ।