নিয়মিত মাস্কের ব্যবহারে ৪০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে করোনা সংক্রমণ! দাবি জার্মান বিজ্ঞানীদের
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। এই নির্দেশিকায় WHO জানিয়েছে, যে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের মাস্কে করোনার সংক্রমণ রোখা যাবে না। এ ক্ষেত্রে একমাত্র ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে WHO।
এ বার জার্মানির একদল বিজ্ঞানীও দাবি করলেন, নিয়মিত মাস্কের ব্যবহারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা যেতে পারে করোনা সংক্রমণের হার! মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পর অবিশ্বাস্য সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
জার্মানির ‘আইজেডএ ইনস্টিটিউট অব লেবার ইন বন’ (IZA Institue of Labour in Bonn)-এর গবেষকরা জানান, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ১০ দিনের মধ্যেই জার্মানির শহর জেনায় করোনা আক্রান্তের হার ২.৩ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে।
এই ভাবে সে দেশের আরও বেশ কয়েকটি শহরে সমীক্ষা চালিয়ে (IZA Institue of Labour in Bonn)-এর গবেষকদের দাবি, এই ভাবে সর্বত্র মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা গেলে দৈনন্দিন করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা যেতে পারে।
গত শুক্রবার ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ (New England Journal of Medicine)-এও একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণাপত্রে ফেব্রুয়ারি মাসে মূলত ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজের উপসর্গহীন এবং উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের মাস্ক পরার প্রভাবের উপর সমীক্ষা করা হয়েছিল। এই সমীক্ষাতেও মাস্কের ব্যবহারের ফলে দৈনন্দিন করোনা সংক্রমণের হার কমার প্রমাণ মিলেছে।