কেন মনে বাসা বাঁধে অবসাদ? কী ভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব? জেনে নিন
বলিউডের অন্যতম অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত, যাঁর মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। আর এর ফলেই নাকি তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন। যদিও এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষ। তবে সুশান্তের মৃত্যুর পরেই দেশ জুড়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে অবসাদ বা Depression শব্দটি নিয়ে। কী এই Depression বা অবসাদ? কেন মনকে গ্রাস করে এই অবসাদ?
অনেকের মনেই দানা বেঁধেছে একটা প্রশ্ন, কতটা শক্তিশালী মনের এই অসুখ? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকের জীবনেই যখন তখন হানা দিতে পারে অবসাদ বা Depression। দীর্ঘ লকডাউন, মূল্যবৃদ্ধি, চরম অর্থ সঙ্কট, পেশাগত অনিশ্চয়তা, ব্যক্তিগত সম্পর্কের দূরত্ব ইত্যাদি নানা কারণে মন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।
কখনও কাজের চাপে, কখনও চাকরির সমস্যা, কখনও সাংসারিক জীবনে অশান্তির কারণ, কখনও পরীক্ষায় ভাল ফল না হওয়া, কখনও অন্যদের থেকে কোনও ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ভয় আমাদের অজান্তেই মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। জীবনের যে কোনও মানসিক চাপের কারণে আমাদের ঘিরে ধরতে পারে এই অবসাদ।
অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তিরা একাকীত্বে ভোগেন বেশির ভাগ সময়। মানসিক স্বাস্থ্যকে অবসাদ এমন ভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যে আক্রান্ত ব্যক্তি যে কোনও চরম সিদ্ধান্ত মুহূর্তেই নিয়ে ফেলেন। একাকীত্ব, মানসিক যন্ত্রণা, দুঃখ, হতাশা ধীরে ধীরে অবসাদের রূপ নেয়। মনোবিদদের মতে, সাফল্যের শীর্ষে থাকা কোনও ব্যক্তিও একাকীত্ব বা ঈর্ষার কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
গাছের পরিচর্যা, গান শোনা, যোগাসন, ছবি আঁকা, ভ্রমণ ইত্যাদির মাধ্যমে অবসাদ কাটানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন মনোবিদরা। মানসিক চাপ ও অবসাদ কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাউন্সেলিং করানো যেতে পারে। আবসাদ, মানসিক চাপ কমানোর বেশ কিছু ওষুধও রয়েছে যা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে খাওয়া যেতে পারে।