চা-দোকানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে, আমার বেলায় হিংসে কেন? বিদ্রূপের জবাব আলমের
নির্বাচনে বাংলাদেশের অভিনেতা হিরো আলম প্রার্থী হওয়ার পরই বিদ্রূপের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তবে সে সবকে পাত্তা দিতে নারাজ বাংলাদেশের বগুড়ার নায়ক হিরো আলম।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পাটির হয়ে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়ন চেয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আবেদনপত্র জমা দেন হিরো আলম। আর এই খবর ছড়াতেই বিদ্রুপের ঝড়।
বগুড়ায় একটা সময়ে সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে নায়ক বলেন, ''হিরো আলম বিশ্বখ্যাত তারকা। ফেসবুকে আমার অনুসরণকারী প্রায় সাড়ে তিন লাখ। অথচ আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন অনেকে''।
তবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকে পাত্তা দিতে নারাজ হিরো আলম। আর এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীই তাঁর অনু্প্রেরণা। হিরো আলম বলেন, ''চা-দোকানি নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে আমি সাংসদ নির্বাচনে লড়াই করতে চাইলে হিংসা হয় কেন? আমি এদেশের নাগরিক। সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে চাই''।
হিরো আলম আরও বলেন,'' জিরো থেকে সন্ত্রাসী, তোলা তুলে মন্ত্রী-সাংসদ হয়েছেন অনেকে। রাজাকারেরাও মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। হিরো আলম কারও তো কোন ক্ষতি করেনি! মানুষকে কথা দিয়েছিলাম ফের নির্বাচনে নামলে সংসদ ভোটেই প্রার্থী হব। কাউকে কথা দিলে হিরো আলম রাখে''।
সাংসদ হওয়ার পরও অভিনয় চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে হিরো আলমের। তাঁর প্রতিশ্রুতি, দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন করবেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে পল্লীবন্ধু নামে সিনেমা করার ইচ্ছাও রয়েছে আলমের।
মূলত ইউটিউবে একাধিক ভিডিও মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন হিরো আলম। নিজেই মিউজিক ভিডিও নির্দেশনা করেন। ওই ভিডিওগুলিতে নায়কও তিনি। লড়াই করে উঠে এসেছেন বগুড়ার অভাবী ঘরের ছেলে আলম। সেই লড়াই ভরসা দিচ্ছে নায়ক আলমকে