ঝিলের নৈসর্গিক পরিবেশে `ভুরিভোজ`, নলবনে আসুন রাজ্যের ইলিশ উৎসবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সূর্য মধ্যগগনে। নলবনে তখন চলছে জমিয়ে ইলিশ ভোজন। গোলতলার স্বচ্ছ জলাশয়ের পাশে রাজ্য সরকারের রেস্তরাঁ হতে চলেছে ভোজনরসিক বাঙালির আগামীর ঠিকানা।
গত ২৯ অগাস্ট নলবনে পথ চলা শুরু করেছে ভুরিভোজ রেস্তোরাঁ। উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম।
বিদেশে জলাশয়ের পাশে এই ধরনের রেস্তরাঁ দেখা যায়। কিন্তু রাজ্যে এমনটাই প্রথম। নলবনে ঝিলের ধারে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ভুরিভোজ রেস্তরাঁ।
ভুরিভোজ রেস্তরাঁয় শুরু হয়েছে ইলিশ উৎসব। ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
বাজারে ইলিশের দাম অনেক। তার উপরে ইলিশের নানা পদ রান্না করাও চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। ভুরিভোজে পাওয়া যাচ্ছে, দই ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ভাপা, ইলিশ ভাজা, ইলিশ পাতুরি, ইলিশের তেল ইত্যাদি।
মাত্র ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন রসনাপ্রেমীরা। ইলিশের সঙ্গে থাকছে ভাত ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পদ। এক কথায় পয়সা উশুল।
রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়,''এমন পরিবেশ আর কোথাও পাওয়া যাবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে বসেও খেতে পারবেন। চাইলে লেকের ধারেও স্বাদ নিতে পারবেন বাঙালির প্রিয় মাছের।''
ইলিশ ছাড়াও সস্তায় মাছ-ভাতও মিলছে ভুরিভোজে। ৮৪ টাকাযয় পাবেন মাছের তরকারির সঙ্গে ভাত, ডাল ও সবজি।
এত সস্তায় কীভাবে দিতে পারছেন? সুব্রতবাবু বলেন,''ভেড়ির মাছ রাজ্য সরকারের। এখান থেকে মাছ তুলেই রান্না করছি। ফলে একেবারে তাজা মাছ খেতে পারবেন গ্রাহকরা।''
তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র সেক্টর ফাইভে ভুরিভোজের ব্যবসা জমে যাবে বলে আশা করছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। পুজোর সময় আরও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।