১৮টি পাহাড়ের মাঝে সবরীমালার সঙ্গে পুরাণের কী যোগ?
সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারে বাধা থাকল না। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে ৪ জন বিচারপতিই মহিলাদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে মত দিয়েছেন। শীর্ষ আদালতের পর্যালোচনা, মন্দিরে নারী-পুরুষ সকলেরই পুজো করার অধিকার রয়েছে।
সবরীমালা মন্দিরের সঙ্গে রামের সময়কাল জড়িয়ে রয়েছে। মহাভারতের অষ্টম স্কন্ধ ও সঙ্কচপুরাণের অসুর কাণ্ডে শিশুর উল্লেখ রয়েছে, তাঁরই অবতার আয়াপ্পা। ১৮টি পাহাড়ের মধ্যে তাঁর বিখ্যাত মন্দির।
আয়াপ্পা পুজোর জন্য সবরীমালায় তাঁর মূর্তি স্থাপন করেছিলেন পরশুরাম। রামভক্ত সবরীর নামে রাখা হয়েছে মন্দিরের নাম। ১৮টি পাহাড়ের মধ্যে থাকা এই মন্দিরে পৌঁছতে চড়তে হয় ১৮টি সিঁড়ি। মন্দিরে আয়াপ্পা ছাড়াও গণেশ ও নাগরাজের মতো উপদেবতাদের বিগ্রহও রয়েছে।
কথিত রয়েছে, আয়াপ্পা অবিবাহিত। ভক্তদের জন্য সারাজীবন বিবাহ করেননি তিনি। যতদিন পর্যন্ত না ভক্তরা আসা বন্ধ করেন, ততদিন বিবাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আয়াপ্পা।
ভারতের অন্যান্য মন্দিরের মতো সবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের ঋতুমতী মহিলা প্রবেশ করতে পারেন না। এখানে ভক্তরা কালো কাপড় পরে আসেন। এই রং ত্যাগের প্রতীক বলে বিশ্বাস ভক্তদের। সবরীমালা আসার আগে ৪০দিন ধরে আস্তিক জীবন কাটাতে হয়।
কথিত রয়েছে, এখানে আসার আগে মাছ-মাংস ও আমিষ ত্যাগ করতে হয়। তুলসী বা রূদ্রাক্ষের মালা পরলে ইচ্ছাপূরণ হয় বলে কথিত রয়েছে। মন্দিরের সিঁড়িগুলিরও মাহাত্ম্য রয়েছে বলে মনে করেন ভক্তরা।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই মন্দিরে দেবদর্শন করতে পারেন ভক্তরা। বাকি সময় মন্দির সাধারণ ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে। মকর সংক্রান্তি ধুমধাম করে উদযাপন করেন আয়াপ্পার ভক্তরা। ফলে মকর সংক্রান্তিতে সবচেয়ে বেশি ভক্তরা মন্দিরে যান।