রঙ্গিলা, রঙ্গিলা, রঙ্গিলা রে...
নীল- নীল রঙ শ্রীকৃষ্ণের ভূষণ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই রঙ 'ঐশ্বরিক'।
হলুদ- ঋক্ বেদ অনুযায়ী হলুদ হল বৈশ্যদের রঙ। হিন্দুরা মনে করেন এই রঙের বসন পরে থাকেন বিষ্ণু এবং শ্রীকৃষ্ণ। হলুদের সঙ্গে ভারতের একটা সংস্কৃতি মিশে রয়েছে বলেই অনেকের মত।
সবুজ- সবুজ প্রকৃতির রঙ, আনন্দের রঙ। বিষ্ণুর আরেক অবতার শ্রীরাম, যাকে সবুজ রঙে আচ্ছাদিত থাকতে দেখা যায়। জীবনের ১৪ বছর বনবাস কাটানোর কারণেই তাঁকে অনেকেই সবুজের প্রতীক মনে করেন। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মধ্যভারতের অনেক অঞ্চলেই বিয়ের পর মেয়েদের সবুজ রঙের চুড়ি এবং শাড়ি পরতে দেখা যায়।
লাল- লাল বিয়ের উৎসবের রঙ। তবে ভারত পালিত সমস্ত আনুষ্ঠানেই কমবেশি লাল রঙের ব্যবহার করা হয়। অনেকের কাছেই লাল আসলে জীবনের রঙ। কেবল হিন্দুরাই নয়, লাল রঙের প্রচলন রয়েছে মুসলিম, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মাবল্মবীদের মধ্যেও।
ভারত সহ গোটা পৃথিবীতেই রঙের উৎসব পালিত হয় সাড়ম্বরে। সকল ধর্মাবলম্বীরাই এই রঙের উৎসবে সামিল হন। বাংলাদেশের পুরনো ঢাকাতেও দোল উৎসবে সামিল আট থেকে আশি।
রঙের উৎসব ছাড়া বাঙালিদের বসন্ত অসম্পূর্ণই থাকে। শান্তিনিকেতনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগেই শুরু হয়েছিল বসন্ত উৎসব। যা এখনও বাঙালি তো বটেই বিদেশিদেরও বসন্ত ভ্রমণের প্রথম পছন্দ।