Tarakeshwar Temple: বন্ধ বাঁকযাত্রা, হবে না শ্রাবণী মেলাও, তবে খোলা থাকবে মন্দির
নিজস্ব প্রতিবেদন- 'বাবা তারকনাথের চরণে সেবা লাগে'.......বছরের সেই সময়টা এসে গেছে যখন বিটি রোডের ধার থেকে এমন শব্দ ভেসে আসা স্বাভাবিক জীবনেরই অঙ্গ ছিল। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও চলে যায়নি। এরমধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কথা মাথায় রেখে, লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত এড়াতে এবছর তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার উপর বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। সেই বিধিনিষেধের কথাই জানালেন তারকেশ্বর মন্দিরের মঠাধীশ মহন্ত মহারাজ।
গতবছর মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এবছর পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দির খোলা থাকবে । মন্দিরে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। আগে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খোলা থাকত মন্দির। এবার থেকে ভোর ৫.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা। করোনা সম্পর্কিত সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।
শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে যে বাঁকযাত্রার আয়োজন করা হয়, তা আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে বলে মন্দিরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণের জন্য গত বছরও বন্ধ ছিল তারকেশ্বর মন্দিরের শ্রাবণী মেলা ও বাঁকযাত্রা। এমনকী, গতবছর মন্দিরও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এবছর মন্দির খোলা থাকছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১, ২ ও ৪ নম্বর গেট দিতে ভক্তদের প্রবেশ করতে হবে এবং ৫ ও ৬ নম্বর গেট দিয়ে বাইরে বের হতে হবে। প্রয়োজনে মন্দিরের গেটে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আর্জি করেছেন মহন্ত মহারাজ।
একসঙ্গে ২০০ জনের বেশি ভক্ত একসঙ্গে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে তাতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মন্দির খোলা থাকলেও মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ থাকছে। তাই চোঙাতেই জল ঢালতে হবে ভক্তদের।
তারকেশ্বর মন্দিরের মঠাধীশ মহন্ত মহারাজ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে চিঠি দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিন্ধান্ত জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনকেও অনুরোধ করা হয়েছে যে, জেলার অন্য কোনও শিব মন্দিরে যেন জলযাত্রা বা বাঁকযাত্রা না আয়োজন করা হয়।