Covid Sub Variant JN.1: কতটা ভয়ংকর কোভিডের সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1? জেনে নিন বিশদে...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের বাড়ছে কোভিড। কেরালায় ফের একজনের মৃত্যুও হয়েছে কোভিডে। সতর্কতা হিসেবে কর্নাটকে সিনিয়র সিটিজেনদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে টেস্টিং ও জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এই মর্মে ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র।
এখন এই সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 কী? জানা যাচ্ছে, সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 হচ্ছে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টেরই বংশধর। যে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টকে নাম দেওয়া হয়েছে পিরোলা।
এখন পিরোলা বা BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টের থেকে কোথায় আলাদা সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1? সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটাই অতিরিক্ত মিউটেশন থাকে। যেখানে পিরোলার স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন থাকে।
এখন এই Sars-CoV-2 এ স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। কারণ এই স্পাইক প্রোটিনই মানব কোষের রিসেপটরকে আকৃষ্ট করে ও ভাইরাসকে শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়।
তবে সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর উপসর্গ বা সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে এখনও উদ্বেগের কিছু পাওয়া যায়নি। কারণ পিরোলার মিউটেশন বেশি হওয়ায় তার সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। তবে তা নিয়েও অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ওদিকে WHO জানিয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মানব শরীর থেকে স্বাভাবিকভাবে নিঃসৃত সিরাম-ই পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-কে প্রতিহত করবে।