দেখতে Red Wine, স্বাদে লাজবাব, জেনে নিন কাঞ্জির রেসিপি
নিজস্ব প্রতিবেদন: যে জিনিস দেখতে ভাল তা পুষ্টিকর হয়না। কিন্তু কাঞ্জি পানীয় একেবারেই তা নয়। যেমন তার রূপ তেমন তাঁর গুণ। শীতকালের জন্য একেবারে যথাযথ। এর আরও একটি নাম কোম্বুচা।
প্রোবায়োটিক ড্রিঙ্ক। গোলাপি ও বেগুনি রঙের মিশ্রণে সুন্দর রঙের কাঞ্জি। খানিক টক স্বাদে যা খেতেও বেশ সুস্বাদু।
বেশ কিছু অঞ্চলে দোলের সময় কাঞ্জি খাওয়া হয়ে থাকে।
কাঞ্জির জন্য প্রয়োজন যে যে উপাদান, ৫০০ গ্রাম বীট ও গাজর, ১ লিটার জল, ৩০ গ্রাম নুন, ১০ গ্রাম সর্ষে, ৫ গ্রাম লঙ্কা গুঁড়ো, ৫ গ্রাম হলুদ গুঁড়ো বা কাঁচা হলুদ, ৫ গ্রাম কাঁচা আদা খোসা সমেত,১টা পাতি লেবু।
ল্যাক্টো ফার্মেন্টেশন থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় যেটা আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী।
বিটরুট এবং গাজরকে পাতলা স্লাইস করে, সামান্য কাঁচা হলুদ টুকরো টুকরো করে কেটে, আদা কেটে নিন।
কালো সর্ষে বেটে মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে সন্ধক লবন নিন পরিমাণ মতো। এবার জলের মধ্যে ফেলুন কেটে রাখা বিটরুট, গাজর, আদা, হলুদ। এবার ওই জলেই দিয়ে দিন লেবুর রস। হালকা ঝাল ভাব আনার জন্য লাল লঙ্কার গুড়ো দিতে পারেন।
এবার একটি কাঁচের বয়ামের মধ্যে নিয়ে একেবার এয়ার টাইট করে রাখুন। খেয়াল রাখবেন সবজিগুলো যেন জলে ডুবে থাকে।
এরপর ওই জার রেখে দিন দুই থেকে তিন দিন। মনে রাখবেন প্রত্যেকদিন একবার করে খুলতে হবে জারের মুখটি। বোতলের গায়ে বুদ বুদের সংখ্যা কমে গেলে জারের মুখটি খুলে ছেকে নেবেন।
এবার পানীয়টি ঢেলে নিন গ্লাসে। মনে রাখবেন, ফার্মেন্টেশনের কারণে টক হয়ে যাবে পানীয়টি।