Hilsa: ক`দিন পরেই ইলিশময় বাজার! জেনে নিন কবে, কত দামে পাবেন মরসুমের প্রথম রুপোলি শস্য...
অয়ন ঘোষাল: তবে, মনের মতো ইলিশের দেখা এখনও না মেলায় সেই হাসি তার চওড়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, চওড়া হাসি ফুটবে ১৫ অগাস্টের পরে। আর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পদ্মার ইলিশ পাঠাবে হাসিনা প্রশাসন। তখন এই হাসি চওড়া থেকে আরও চওড়া হবে।
অয়ন ঘোষাল: সুখবর আসতে শুরু করেছিল শুক্রবার রাত ১ টার পরেই। ট্রলার দিঘা মোহনায় এবং ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্রনগর ঢোকার পরেই। প্রায় সব মৎস্যজীবীই জানান, প্রায় সকলের জালেই ইলিশ উঠেছে। আড়তদারের নিলামে পরিষ্কার হল, ইলিশ উঠেছে প্রায় ৫৫ মেট্রিক টন।
অয়ন ঘোষাল: তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনও তেমন উদার নয়। নিয়ম বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠে যত বেশি বৃষ্টি, তত তাজা জল, তত বেশি খোকা ইলিশের লাফালাফি, তত বেশি ওজন এবং তত বেশি স্বাদ। তাই সেই স্বাদের জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত। বলছে ওয়েস্ট বেঙ্গল হিলসা অ্যাসোশিয়েশন।
অয়ন ঘোষাল: ওয়েস্ট বেঙ্গল হিলসা অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস জানান, আপাতত যে ইলিশ উঠেছে, তার গড় ওজন ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। মানে, খোকা ইলিশের থেকে সামান্য বড়। স্বাদ মোটামুটি, কাঁটা প্রচুর। এ হল সান্ত্বনা পুরস্কার। আসল পুরস্কার পদ্মার ইলিশ, যা হাসিনা সরকারের দেওয়া, খাঁটি পদ্মার ইলিশ; যার ওজন শুরুই হবে ৯০০ গ্রাম বা ১ কিলো দিয়ে, যে-মাছ বাজারে আসবে পুজোর আগে-আগে।
অয়ন ঘোষাল: গড়িয়াহাট মাছবাজারের এক মাছবিক্রেতা বলেন, বাজারে বড় ইলিশ বলতে এখনও মায়ানমারের বরফমোড়া ইলিশই। যার দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এবং যা খেয়ে মোটেই মজা নেই।
অয়ন ঘোষাল: তা হলে? অপেক্ষা ছাড়া উপায় কী? আর কিছুদিন ধৈর্য্য ধরলেই সমুদ্র থেকে সোজা বাঙালির পাতে এসে পড়বে জলের রুপোলি শস্য। আপাতত মায়ানমারই ভরসা থাক!