প্রধানমন্ত্রী মোদী বার্তা পাঠিয়েছেন দাবি করে আহ্লাদে আটখানা ইমরান খান
নয়াদিল্লিতে পাক দূতাবাসে 'পাকিস্তান দিবস' অনুষ্ঠান বয়কট করেছে ভারত সরকার। ওই অনুষ্ঠানে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমন্ত্রণ জানানোয় বয়কটের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করলেন, তাঁকে পাকিস্তান দিবসের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
পুলওয়ামাকাণ্ডের পর পাকিস্তানে ঢুকে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারত। ওই ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানকে সভা-সমাবেশে নিশানা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তেজনা প্রশমনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও বলতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর ভারতের চাপে ফ্লাইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় ইসলামাবাদ।
আগের চেয়ে উত্তেজনা কমলেও নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কোনওরকম সংলাপে বসবে না ভারত। এদিন দূতাবাসে 'পাকিস্তান দিবস'-এর অনুষ্ঠানও বয়কট করে ভারত। আর এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করলেন, তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যদিও নয়াদিল্লির তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ইমরান টুইটারে দাবি করেছেন, পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর শুভেচ্ছাবার্তা পেলাম। সন্ত্রাস ও হিংসার পরিবেশ থেকে উপমহাদেশকে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, উন্নত ও প্রগতিশীল অঞ্চল করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
ইমরান আরও লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছাবার্তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাকিস্তান দিবসের উদযাপন করছি আমরা। সব ধরনের বিষয়গুলি, বিশেষ করে কাশ্মীর নিয়ে সংলাপের সময় বলে মনে করি। এবং আমাদের দেশবাসীর জন্য শান্তি ও উন্নতির সম্পর্ক স্থাপন করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে ইমরান খান। কিন্তু নয়াদিল্লির তরফে কিছুই জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও কোনও টুইট করেননি। ফলে ইমরানের দাবির সত্যতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আবার কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক রীতি মেনে নিয়মমাফিক এমন বার্তা পাঠাতে হয়। এটাও তেমন হতে পারে। কিন্তু এমন বার্তা পেয়েও ইমরান যে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে।