আগামিকাল মুক্তি পাচ্ছেন বায়ুসেনার বিমানচালক, নতিস্বীকার ইমরানের
ভারতের প্রত্যাঘাতের পর এদেশের সীমানায় ঢুকে সেনাঘাঁটিকে নিশানা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে তারা। বিশ্বের কোনও দেশই এখনও পর্যন্ত ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়ায়নি। উল্টে সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানকে তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে ধমক দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমন কোণঠাসা অবস্থায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান চালককে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ইমরান খান।
পাক সংসদের যৌথ অধিবেশনে ইমরান খান জানিয়েছেন, আগামিকাল ছেড়ে দেওয়া হবে ভারতীয় যুদ্ববিমান চালককে। শান্তির বার্তা দিতে এমন সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কূটনীতিকরা বলছেন, ভারতের চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হলেন ইমরান খান।
মোদী সরকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, উইং কমান্ডারকে পণবন্দি করে পাকিস্তান চাপ সৃষ্টি করতে চাইলে, এটা তারা ভুল করবে। তার ফল মারাত্মক হবে। পাশাপাশি ওই উইং কমান্ডারের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করার কথাও বলা হয়।
বুধবার নয়াদিল্লি বার্তা দিয়েছিল, আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। বায়ুসেনার ঘায়েল কর্মীর সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁকে দ্রুত ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানাল ভারত।
বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার জখম সদস্যকে ঘৃণ্যভাবে প্রদর্শন করছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।
বুধবার পাক সেনা দাবি করেছিল, ভারতের দুই বিমানচালককে আটক করেছে তারা। পরে তারা একশো ডিগ্রি ঘুরে জানায়, একজন বিমানচালক ধরা পড়েছেন। পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, ''পাকিস্তানি সেনার হেফাজতে রয়েছেন মাত্র একজন বিমানচালক''।