তাপমাত্রা মাইনাস ৮০ ডিগ্রি! এখানে সময়-ও হিম হয়ে যায়
অ্যান্টার্কটিকার কনকোর্ডিয়া রিসার্চ স্টেশন। এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু কীভাবে এই গবেষণা কেন্দ্রে সাধনা চালিয়ে যাচ্ছেন সাইপ্রেন ভারসিউক্স-সহ ১২ বিজ্ঞানী? সেটাই বিস্ময় তাই না!
বিজ্ঞানী সাইপ্রেন জানাচ্ছেন, নয় মাস এখানে শীতকাল। সে সময় বাইরে বেরনো দুষ্কর। তাপমাত্রা এতটাই নীচে নেমে যায় ব্যাকটেরিয়াও বাঁচা সম্ভব নয়।
বিস্তৃণ বরফের চাদরে ঢাকা এই এলাকায় অক্সিজেনও কম বলে জানাচ্ছেন সাইপ্রেন। তাঁর কথায়, মাঝে মাঝে মনে হয়ে অন্য গ্রহে বাস করছি আমরা।
শীতকালে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম জায়গা এটি। সাইপ্রেন বলছেন, ফের অগস্টে সূর্যের দেখা মিলবে। এখানে জলীয়বাস্প এতটাই নগন্য, যে অক্সিজেনের অভাব হয়।
তবে, হঠাত্ কেন এই জায়গায় রিসার্চ সেন্টার তৈরি হল? ২০০৫ সালে তৈরি হয় কনকোর্ডিয়া রিসার্চ স্টেশন। মানুষের অভিযোজন প্রক্রিয়া (শরীরতত্ত্ব) এবং জ্যোর্তিবিদ্যা গবেষণায় আদর্শ জায়গা হল এটি।
বিজ্ঞানী সাইপ্রেন জানাচ্ছেন, অবসর সময় যখন রান্না করেন, এর থেকে দুষ্কর কাজ পৃথিবীতে নেই। কেন? উত্তর দিতে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন।
চাউমিন হিমায়িত হয়ে এমনই শক্ত হয়ে গিয়েছে মাধ্যাকর্ষণ বলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আটকে রয়েছে চামচ।
স্ট্যাচু বলার আগেই স্থবির হয়ে গিয়েছে সব...সময় যেন থমকে গিয়েছে।
সাইপ্রেন জানাচ্ছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়েও উল্লেখযোগ্য গবেষণা করা গিয়েছে।