পড়ছে টাকার দর, খরচ বাড়ছে আম জনতার
প্রতি দিনই ডলার পিছু পড়ছে টাকার দাম। এই ধারাবাহিক পতন সাময়িক বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু আশঙ্কার মেঘ সরছে কোথায়? অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, টাকার পতনে এ বার আমজনতার হাঁড়িতেও টান পড়তে পারে। কীভাবে?
ডলার দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় জ্বালানি তেলে আমদানি করতে আরও বেশি খরচ করতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যার ফলে মুদ্রস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জ্বালানি তেল বেশি দামে আমদানি করলে পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যও।
এই প্রথম ডলার পিছু টাকা দর পৌঁছয় ৭১-তে। যা সর্বকালীন রেকর্ড। ডলারের এই বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকটি খাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে আম জনতাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টাকার পতনে পণ্য পরিষেবায় ১০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে গ্রাহকদের। পেট্রল, ডিজেল, কাঁচা মাল, যন্ত্রাংশ, খাদ্য, চকোলেট প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে।
যে সব পড়ুয়া বিদেশে পড়াশুনা করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও বাড়বে খরচ। ডলার পিছু টাকার দর ৬৫ টাকা থাকার সময় যাঁরা শিক্ষার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁদের এখন ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে বছরে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডলার খরচ হয়।
বিদেশ থেকে আমদানি করা ওষুধেও বাড়বে খরচ। বিশেষ করে ক্যানসার এবং দুরারোগ্য ব্যাধির ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে বেশি মূল্য চোকাতে হবে আম জনতাকে। এর পাশাপাশি চিকিত্সার যন্ত্রাংশ এবং স্টেন্টসের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাবে খরচ।