Indian Defence News: পাকিস্তান কোন ছাড়, চিনও ভয় পাবে! ৩২ হাজার কোটির চুক্তিতে উড়বে ৩১ `প্রিডেটর পাখি`
গত সেপ্টেম্বরে তিন দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি চতুর্দেশীয় অক্ষ 'কোয়াড'-এর শীর্ষবৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই তাঁর সঙ্গে একাধিক বিষয় কথা হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে।
মোদী আমেরিকা থেকে ফেরার প্রায় এক মাসের মধ্য়েই চলে এল দারুণ খবর। আকাশপথে নজরদারি আরও শক্তিশালী করার জন্য় মোদী সরকার মাস্টারস্ট্রোক দিল। আমেরিকার সঙ্গে ৩২ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে ভারত কিনছে ৩১টি এমকিউ-৯বি হাই অলটিটিউড লং এনডিওরেন্স ইউএভি! আমেরিকার মনুষ্যবিহীন আকাশযান ওরফে ড্রোন এবার আকাশ শাসন করবে।
জেনারেল অ্যাটমিক্স আমেরিকার শক্তি ও প্রতিরক্ষা কর্পোরেশন। যারা গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষজ্ঞ। তাদের মূলত কাজ পারমাণবিক বিভাজন এবং পারমাণবিক ফিউশন শক্তির সমর্থনে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা। এই কোম্পানি মনুষ্যবিহীন আকাশযানের শুধুই গবেষণা করে না। তা উত্পাদনের সঙ্গেই পরিষেবা প্রদানও করে। যার মধ্যে রয়েছে এর এই এমকিউ-৯বি প্রিডেটর ড্রোন। বায়ুবাহিত সেন্সর, উন্নত বৈদ্যুতিক, ইলেকট্রনিক, বেতার এবং লেজার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে জেনারেল অ্যাটমিক্স। এই ড্রোনগুলির ভারতেই রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির কাজ হবে
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য়, গত সপ্তাহে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ওরফে সিসিএস সবুজ সংকেত দেয়। যার অধীনে ১৫টি 'প্রিডেটর পাখি' ভারতীয় নৌবাহিনীতে যাবে এবং বাকিগুলিকে বিমানবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে। ভারত বহু বছর ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু চূড়ান্ত বাধাগুলি অতিক্রম করে, কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি ছাড়পত্র পেয়ে যায়। কারণ আমেরিকান প্রস্তাবের বৈধতার শেষ দিন ছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তার আগেই করতে হত।
তামিলনাড়ুর রানিপেট জেলার আরাককোনামের কাছে রয়েছে ভারতীয় নৌ বিমান স্টেশন আইএনএস রাজালিতে ভারত ড্রোনগুলির পরীক্ষা করবে। পাশাপাশি গুজরাতের পোরবন্দর, সারসাওয়া এবং উত্তর প্রদেশের গোরখপুর সহ-চারটি সম্ভাব্য স্থানে ড্রোনগুলির পরীক্ষা করা হবে।
এই ড্রোনগুলির মূল বৈশিষ্ট্য হল একদম চুপিচুপি অপারেশন। ড্রোনটির এয়ারোডায়নামিক স্টিলথ বৈশিষ্ট্যের কারণে সেটি বাকিদের থেকে আলাদা। ড্রোনটি মাটি থেকে ২৫০ মিটার উড়তে পারে। এই ড্রোন সর্বোচ্চ ৪৪২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উড়তে পারে প্রায় ৫০ হাজার ফুট উঁচুতে। যে কোনও বাণিজ্য়িক এয়ারপ্লেনের চেয়েও যা উপরে যে কোনও ধরনের আবহাওয়ায় মিশন থাকলেও এই পাখিকে পাঠানোর যাবে। যা এই ড্রোনকে আলাদা করে। ড্রোনটিতে বাতাস থেকে ভূমিতে মিসাইল ছোড়া ছাড়াও বাতাস থেকে বাতাসে মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারে। এমকিউ-৯বি ড্রোন জ্বালানি ছাড়াই ২০০ মাইল উড়তে পারে এবং ১৭০০ কেজি পর্যন্ত কার্গো বহন করতে পারে। যার মধ্যে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ৪৫০ কেজি বোমা বহনের ক্ষমতা রয়েছে। জেনারেল অ্যাটমিক্সের দাবি করেছে যে এই ড্রোন টানা ৩৫ ঘণ্টা ননস্টপ উড়তে পারে।