মার্কিন `প্রিডেটর` ভারতের হাতে এলে ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের
এই ড্রোন 'প্রিডেটর ড্রোন' নামে খ্যাত। ইরাক থেকে শুরু করে আফগানিস্তান এবং সিরিয়ায় মার্কিনদেশের তরফে ব্যবহার করা হয়েছে এটি। এই ড্রোন একইসঙ্গে নজরদারি এবং হামলা চালাতে পারে।
এটি হল আমেরিকার শক্তিশালী 'এমকিউনাইন ড্রোন'। শোনা যাচ্ছে, কিনবে ভারত। কথাবার্তা মোটামুটি চূড়ান্ত। জানা গিয়েছে, আমেরিকান প্রতিরক্ষা সচিব ভারতে আসার সময়ে এই চুক্তি সরকারি ভাবে ঘোষিত হবে। এর ফলে ভারতের মিলিটারি শক্তি আরও জোরদার হবে।
করোনা-পর্বের নুয়ে-পড়া অর্থনীতির ঝাপটার মধ্যেও যে ভারত তার অস্ত্রভাণ্ডার সাজিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে, তার কারণ, সাম্প্রতিক অতীত। সেখানে একদিকে চিনের চোখরাঙানি আর অন্যদিকে পাকিস্তানের চিরহুমকির আবহ।
ফলে নিজের ঘর গুছিয়ে নিতেই হবে। তাই আমেরিকার থেকে ওই ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। নতুন এই ড্রোনের কাছে পর্বতের গভীর খাদ, উচ্চশৃঙ্গ বা ঘন গভীর জঙ্গল-- কোনও স্থানই অগম্য নয়। কিছুই বাদ যাবে না এর নজরদারি থেকে।
এই ড্রোন আসা মানে ভারতের শত্রুদের ঘুম উড়ে যাওয়া। সব চেয়ে বড় কথা, মানুষ ছাড়াই উড়বে এবং নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানবে এই ঘাতক-অস্ত্র। এক একটি ড্রোন প্রায় সতেরোশো কেজি অস্ত্র বহন করতে পারে। আধুনিক জিপিএস এবং রাডার রয়েছে। শুধু শত্রুশিবির ধ্বংস করাই নয়, নিজেদের বাহিনীর অযথা প্রাণহানি ঠেকাতেও সক্ষম হবে নতুন এই অস্ত্র।
মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিক্সের তৈরি তিরিশটি ড্রোন নিচ্ছে ভারত। তিন বিলিয়ন ডলারের চুক্তি। আর্মি, নেভি এবং এয়ারফোর্স-- এই তিন বাহিনী দশটি করে ড্রোন পাবে। এখন ভারত যে ড্রোন ব্যবহার করে সেগুলি শুধু নজরদারি চালাতে সক্ষম।
চিনও ড্রোন তৈরিতে এগিয়ে। ড্রোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে চিন শীর্ষস্থানীয় এক দেশ। ভারতকে চাপে রাখার জন্য পাকিস্তানকে তারা তাদের উদ্ভাবিত আধুনিক ড্রোন সরবরাহও করে। কিন্তু নতুন এই মার্কিন ড্রোন ভারতের হস্তগত হলে ভারতই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে। কারণ, মার্কিন এই ড্রোন টানা একদিন আকাশে উড়তে পারে। এই বিষয়ে পিছিয়ে রয়েছে চিনা ড্রোনপ্রযুক্তি।