IND vs NZ: জাদেজা-সুন্দরের হাতযশ, ২৩৫ রানে শেষ কিউয়িরা, তবে মুম্বই টেস্টের প্রথম দিনেই ভারত...
ভারতের বিরুদ্ধে চলতি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিউ জিল্যান্ড ২-০ জিতে নিয়েছে। বেঙ্গালুরুতে কিউয়িরা প্রথম টেস্ট ৮ উইকেট জিতে নিয়েছিল। পুণেতে দ্বিতীয় টেস্ট ১১৩ রানে জিতে কিউয়িরা সিরিজ পকেটে পুরে ফেলে! মুম্বইতে শুক্রবার থেকে শুরু হল সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। ওয়াংখেড়েতে যদি ভারত হারে, তাহলে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হবেন রোহিত শর্মার বাহিনী। সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে রোহিত শর্মার টিম!
মুম্বই টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউ জিল্যান্ড। রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতযশে ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় টম ল্য়াথামের টিম। জাদেজা ৫ উইকেট ও সুন্দর ৪ উইকেট তুলে নেন। এক উইকেট আকাশ দীপের। কিউয়িদের হয়ে ব্য়াট হাতে অবদান রাখেন উইল ইয়ং (৭১) ও ড্য়ারেল মিচেল (৮২)।
জাদেজা টেস্টে ১৪ বার ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন এদিন। এখানেই শেষ নয়। জাদেজা স্পিনার হিসাবে ঘরের মাঠে টেস্টে সর্বাধিক ৫ উইকেট নেওয়ার নজিরে ছুঁয়ে ফেললেন পাক কিংবদন্তি আব্দুল কাদিরকে। দু'জনেরই নাম জুড়ল হোম টেস্টে ১২ বার পাঁচ উইকেট নেওয়ায়।
তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ভারতের অ্যাডভান্টেজে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তেমনটা আর হল কোথায়! ২৩৫ রানের জবাবে ভারতের ৪ উইকেট চলে গেল মাত্র ৮৬ রানে। ১৪৯ রানে পিছিয়ে ভারত। বিরাট-রোহিত আবার ফ্লপ। যশস্বীর সঙ্গে ওপেন করতে নেমে রোহিত ফিরে যান ১৮ রানে। যশস্বীর ব্য়াট থেকে এসেছে ৩০ রান। চারে নেমে মহম্মদ সিরাজও ফিরে যান কোনও রান না করে। বিরাট মাত্র ৪ রান করে রানআউট হন! দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল (৩১) ও ঋষভ পন্থ (১)। কিউয়ি স্পিনার আজাজ প্যাটেল নিয়েছেন ২ উইকেট। এক উইকেট পেয়েছেন ম্য়াট হেনরি!
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোহলির রান ছিল ৯৯, ৩৩.০০-র গড়ে। রোহিতের রান ছিল ৪২, ১০.৫০ -এর গড়ে। কিউয়িদের বিরুদ্ধে রোহিতের মুম্বই টেস্টের আগে পর্যন্ত সংগ্রহ ছিল ৬২ রান। কোহলির ব্য়াট থেকে এসেছিল ৮৮ রান। যদিও দলের অটুট আস্থায় আছেন তাঁরা। মুম্বই টেস্টের আগে ভারতের সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার বলেছিলেন, বিরাট-রোহিতেই অটুট আস্থা অভিষেক নায়ারের। ভারতের সহকারি কোচ মুম্বই টেস্টের আগে বললেন, 'যখন কোনও টপ প্লেয়ার খারাপ ফর্মের মধ্য়ে দিয়ে যায়, তখন তাদের সময় ও জায়গা দিতে হয়। বিশ্বাস রাখতে হয় যে, ওরা ফিরে আসবে। বিরাট-রোহিত বলেই নয়, সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে। শুভমন গিলের মতো তরুণও আছে। ওদের প্রয়াস দেখার মতো। কিছু সময়ে ধৈর্য ধরতে হয়। সেরার সেরা প্লেয়াররা কঠিন সময়ের মধ্য়ে দিয়ে যায়। আমি নিশ্চিত আমরা দ্রুত ওদের প্রশংসা করার মতো রসদ খুঁজে নেব।'