করোনার জেরে অক্সিজেনের চাহিদা সর্বত্র প্রায় দ্বিগুণ; টান পড়তে পারে জোগানে!
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হওয়াটা অন্যতম সমস্যা। এই সময় ভেন্টিলেটরের সাহায্যে রোগীর শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হয়। অর্থাৎ, করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাঁচাতে ওষুধপত্রের সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের জোগানও অত্যন্ত জরুরি। তাই করোনার আবহে বেড়েছে অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা।
ইংল্যান্ড, ইতালির পর মহারাষ্ট্রেও অক্সিজেনের চাহিদা এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি যে দিকে, যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে অক্সিজেনের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে জোগানে টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া প্রায় সব রোগীকেই শুরুতে অক্সিজেন দেওয়া হলেও পরে অন্তত ২০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই অক্সিজেন দেওয়ার আর দরকারই পড়ে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই অক্সিজেন চলতেই থাকে। ফলে অনেকটাই অপচয় হয় জীবনদায়ী অক্সিজেনের।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই মুহূর্তে মূলত করোনা রোগীদেরই চিকিৎসা চলছে দেশের সিংহ ভাগ হাসপাতালে। তাতেই অক্সিজেনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ, অক্সিজেনের চাহিদাও বিগত দু-তিন মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে সর্বত্র।
দেশের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন উৎপাদক সংস্থা লিন্ডে-র মার্কেটিং হেড অনির্বাণ সেন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩৯২টি ভেন্টিলেটর-যুক্ত কোভিড বেডের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১৭ লক্ষ ঘনমিটার অক্সিজেন লাগে। এ রাজ্যে আরও ৫০০টি ভেন্টিলেটর চালু করা হয়েছে। এগুলির প্রয়োজন মেটাতে আরও অন্তত ১৬ লক্ষ ঘনমিটার অক্সিজেন লাগবে। অর্থাৎ, এ রাজ্যেও অক্সিজেনের চাহিদা দ্বিগুণ হতে চলেছে।