শুধু ভারত মহাসাগরই নয়, ভারতীয় নৌসেনার মুঠোয় এবার গোটা দুনিয়া
এবার গোটা দুনিয়ার সাগর ও মহাসাগরের উপরে নজরদারি করতে সক্ষম হল ভারতীয় নৌসেনা। এর ফলে দেশের জলসীমার নিরাপত্তা আরও বাড়ল। আর এজন্য ৪৩টি দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত সরকার।
হরিয়ানার গুরুগ্রামের ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টারে শুরু হয়ে গিয়েছে নজরদারির কাজ। শুধু ভারত মহাসাগর নয়ই, প্রায় গোটা বিশ্বের সমুদ্র ও মহাসাগর চলে এল ভারতীয় নৌসেনার নজরদারির আওতায়।
সূত্রের খবর, এজন্য ৪৩টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা করেছে ভারত সরকার। যা দেশের নিরাপত্তার জন্য এটা দারুণ পদক্ষেপ। কারণ বিশ্বজুড়ে জলযানের গতিবিধি সর্বক্ষণ নজর রাখতে পারবে নৌসেনা।
মুম্বই হামলার পর সমু্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে শুরু হয়েছিল তত্পরতা। তিন দিকে দিয়ে জল ঘিরে রেখেছে দেশকে। ফলে জলসীমা সুরক্ষিত রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ভারতের জলসীমার অধিকাংশই ভারত মহাসাগরের দখলে। আর এই মহাসাগর দিয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। এর পাশাপাশি সমুদ্রে সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতিও নজর এড়ানো সম্ভব নয়।
২০১২ সালে ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যানালিসিস বা আইম্যাকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। সেটি ২০১৪ সাল থেকে কাজ শুরু করে।
৭৫০০ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা জুড়ে লাগানো হয়েছে ৫১টি যন্ত্র। এর ফলে ভারত মহাসাগারে আসা-যাওয়া জাহাজের উপরে থাকছে সেনার নজর।
জাহাজের নাম, কী পণ্য থেকে কোন দেশ থেকে সেটি আসছে- এসব তথ্যই চলে আসছে সেনার হাতে। ৫১টি যন্ত্রের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টাই গুরুগ্রামের সেন্টারে আসছে তথ্য।
শনিবার আরও একধাপ এগোল ভারতীয় সেনা। ৪৩টি দেশের স্টেশনকেও সামিল করা হল। আর এর ফলে শুধু ভারত মহাসাগরই নয়, গোটা বিশ্বের জাহাজ চলাচলের তথ্য এখন সেনার হাতের মুঠোয়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের টুইট, ৭০,০০০ জলযানের উপরে একসঙ্গে নজরদারি করা হচ্ছে। ৩০টি দেশ ইতিমধ্যেই অংশীদার হয়েছে। আরও অনেকে যোগ দিতে চলেছে।
বর্তমানে তরঙ্গের মাধ্যমে নজরদারি চলছে, আগামী দিনে সংশ্লিষ্ট দেশের আধিকারিকরাও বসবে গুরুগ্রামের সেন্টারে।