২০১৯-এ ভারতীয় রেল আনছে নতুন সাতটি সুবিধা
এবার ট্রেন সফর চলাকালীনই করা যাবে কেনাকাটা। আপাতত এই সুবিধা দেবে পশ্চিম রেলওয়ের মুম্বই জোন। এর জন্য তারা একটি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে। আপাতত দু'টি ট্রেনে এই পরিষেবা চলবে। পরে অন্য ট্রেনগুলিও ওই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হবে। এখন ওই সংস্থা নিত্যপ্রয়োজনীয় ও প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করার অনুমতি পেয়েছে।
দুরন্ত, রাজধানী ও অন্য এসি ট্রেনের থ্রি-টায়ার কামরায় ছ'টি বার্থ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে। সিনিয়র সিটিজেন, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলা, প্রসূতিরা এই সংরক্ষণের সুবিধার আওতায় থাকবেন।
টিকিটের ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে রেল। এখন আর ওয়েটিং টিকিট কনফার্ম করার জন্য টিটিই-র শরণাপন্ন হতে হবে না কোনও যাত্রীকে। বরং ওয়েটিংয়ের ক্রম অনুযায়ী টিকিট কনফার্ম হবে। আর তা টিটিই নিজের কাছে থাকা একটি যন্ত্রের মাধ্যমে জানতে পারবেন। তার পর তিনি সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে সিটের ব্যবস্থা করে দেবেন।
কানপুর থেকে নতুন দিল্লি পর্যন্ত খুব শীঘ্রই চলবে হাইস্পিড ট্রেন। প্রস্তুতি প্রায় শেষপর্বে। ৩১ মার্চের মধ্যে গাজিয়াবাদ থেকে কানপুর পর্যন্ত ১৬০ কিমি বেগে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। ওই ট্র্যাকে এখন ১৩০ কিমি বেগে ট্রেন যেতে পারে। কিন্তু ৪৪৪ কিমি ওই ট্র্যাকের মাত্র ৮০ কিমিতে সর্বোচ্চ গতিবেগে ট্রেন চলতে সক্ষম। পরের এপ্রিল থেকেই বদলে যাবে পুরো পরিস্থিতি।
পয়লা জানুয়ারি থেকে তৃতীয় লিঙ্গের যাত্রীরা টিকিটের উপর ৪০ শতাংশ ছাড় মিলবে। এর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি যাঁর বয়স ৬০-এর বেশি, তাঁদের জন্যও বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে। এর জন্য সিনিয়র সিটিজেনের আলাদা কোটা রাখা হবে। টিকিট বুকিংয়ের জন্য অগ্রাধিকারও দেওয়া হবে।
আগামী বছরই উত্তর ভারতে প্রথম লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করবে। দিল্লি থেকে কম দূরত্বের গন্তব্যের যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক ট্রেন চালাতে চায় ভারতীয় রেল। আশা করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির গোড়াতেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
জানুয়ারিতে মুম্বইয়ে আরও একটি এসি লোকাল চলবে। এই লোকাল হবে ১২ কোচের। ভেস্টিবিউল কোচ হওয়ায় যাত্রীরা এক কামরা থেকে অন্য কামরায় সহজেই চলাচল করতে পারবেন। মুম্বইয়ে এখন যে এসি লোকাল চলে, তাতে যাত্রী ধারণের ক্ষমতা ৫৯৬৪ জন। নতুন এসি লোকালে আরও সাড়ে তিনশো লোক বেশি বসতে পারবেন।