অলিম্পিকের ইতিহাসে ভারতীয় কীর্তি! বিদেশিদের হারিয়েই একাধিক পদক জয়
১৮৯৬ সালে গ্রিসের অ্যাথেন্সে শুরু হয়েছিল খেলার দুনিয়ার যোগ্যতমদের বিশ্বখ্যাত বিজয়ী হওয়ার মঞ্চ, অলিম্পিক৷ যদিও সেই সময় এই প্রাঙ্গনে ঢোকার সুযোগ হয়নি ভারতের। তভে চার বছর পর অর্থাৎ ১৯০০ সালেই ২০০ মিটার হার্ডলসে ভারতকে প্রথমবারের জন্য দুটি পদক এনে দেন নরম্যান প্রিতচার্দ। সেই শুরু অলিম্পিক মেডেল যাত্রা।
যদিও এরপর অপেক্ষা পর্ব অনেকটা। প্রায় ২৮ বছর পর ১৯২৮ সালে অলিম্পিকে পদক পায় ভারত৷ তাও দেশের অন্যতম খেলা হকির হাত ধরে৷ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে হকি দিয়েই বিশ্ব মাতিয়েছিল ভারত। ধ্যান চাঁদের হাত ধরেই ১৯২৮, ১৯৩২ এবং ১৯৩৬ সালে অলিম্পিকে সোনার পদক জেতে ভারত৷
স্বাধীনতার পরেও অলিম্পিকমঞ্চে হকি ভারতকে জেতার আস্বাদ দিয়েছে একাধিকবার। ১৯৪৮-এ গ্রেট ব্রিটেনকে ফাইনালে পরাস্ত করে ২০০ বছরের শাসনভারের পরোক্ষ জবাব দিয়ে ফাইনাল পদক ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় হকি টিম। ১৯৫৬ সালে অলিম্পিক ফাইনালে পাকিস্তানকেও হারায় ভারত৷
দলগতভাবে এতবছর জিতলেও ১৯৫২ সালে কুস্তির লড়াইয়ে দেশকে প্রথম এককভাবে পদক এনে দেন খাসাবা দাদাসাহেব যাদব। যদিও পরবর্তীতে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায়নি তাকে।
এরপর অলিম্পিক মঞ্চে ভারতকে গৌরবান্বিত করেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। ১৯৯৬ সালে বিশ্বখ্যাত টেনিস তারকা আন্দ্রে আগাসির কাছে পরাজিত হয়ে ব্রোঞ্জ পদক পান লিয়েন্ডার।
ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্রথমবারের মত অলিম্পিকে নজির গড়েন কার্নাম মালেশ্বরী। ওয়েটলিফটিংয়ে ব্রোঞ্জ জয় করে ভারতীয় খেলাধুলো জগতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে শুটিংয়ে প্রথমবারের জন্য মেডেল পান রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর।
বেজিং অলিম্পিকে ভারতকে সোনার পদক এনে দেন অভিনব বিন্দ্রা। এয়ার রাইফেল ক্যাটেগরিতে ভারতের হয়ে নজির গড়েন তিনি। ২০১২ সালের অলিম্পিকে একই ক্যাটেগরিতে ব্রোঞ্জ জেতেন গগন নারাং।
এছাড়াও কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জেতেন সুশীল কুমার। বক্সিংয়ে বিজেন্দর সিং এবং পরবর্তী মেরি কম, সাক্ষী মালিকও পদক জেতান ভারতকে। ব্যাডমিন্টনে সাইনা নেহওয়াল এবং পিভি সিন্ধুর পদক জয়ও ভারতকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে অলিম্পিক মঞ্চে৷