হাঙর থেকে অতিকায় কুমির, অদ্ভূত প্রাণী! বৃহত্তম `Aquatic Gallery` তৈরি গুজরাটে
যদি দেখেন আপনার চোখের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিংস্রতম হাঙর কিংবা অ্যামাজনের প্রকান্ড কুমির, চোখ রগড়ে স্বপ্ন দেখছেন ভাবলে কিন্তু ভুল করবেন। যা হচ্ছে তার সবটাই সত্যি। জলে বসবাসীকারী প্রাণীদের মহাসমারোহে এবার আপনিও সামিল হতে পারবেন।
টুইটারে এমনই ছবি ও তথ্য শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট সায়েন্স সিটির উদবোধনের আগে যেসব ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি, তা দেখে তাজ্জব বনে যেতে হয়!
সেই সায়েন্স সিটিতে রয়েছে নানা রকমের রকমারি আয়োজন। বিপুলাকায় দাবার বোর্ডও রয়েছে। আকাশ থেকে তোলা সে সব দেখে অবশ্য অন্দরের অ্যাডভেঞ্চার বোঝার উপায় নেই।
জীবনের গোলক ধাঁধায় ঘোল তো খেয়েছি আমরা কমবেশি সকলেই। চাইলে গুজরাটের সায়েন্সসিটির এই ধাঁধা পথে যেচে পড়েই হারিয়ে যেতে পারবেন। এমনই সব থ্রিডি গেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রায় ১৫ হাজার স্কোয়ার মিটার জুড়ে রয়েছে গুজরাট সায়েন্স সিটির বিস্তার৷ এদের মধ্যে নজরকাড়া অ্যাকোয়টিক গ্যালারিটি। ২৬০ কোটি টাকা খরচ করে এই গ্যালারিটি তৈরি করেছে গুজরাট সরকার।
বিশালত্ব বুঝতে হলে বলা ভাল প্রায় ৬৪টি বিশালাকৃতির ট্যাঙ্ক বানিয়ে এই আয়োজন হয়েছে। তবে তা হতেই হত। কারণ পৃথিবীর দুর্ধর্ষ সব জলজ প্রাণীরা যে থাকবে এখানেই। খাতির যত্নের ব্যবস্থাও সেভাবেই করা হয়েছে।
তালিকায় থাকছে রিফ শার্ক, অ্যালিগেটর গর, ব্ল্যাক আউ ফিস এবং জাপানি নানা মাছ। পৃথিবীর নানা প্রজাতিদের এখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৮ মিটার লম্বা টানেলের দু'পাশে তাদের দেখতে পাবেন দর্শকরা।
প্রায় ১১ হাজার ৬০০ রকমের মাছ, ১৮৮ টি বিভিন্ন প্রজাতি থাকবে এই অ্যাকোয়াটিক গ্যালারিতে। হাঙরেরই থাকবে নানা প্রজাতি। দেখতে পাবেন জেব্রা শার্ক এবং বনেটহেড শার্কের মতো বিলুপ্তপ্রায়দের৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অ্যাকোয়াটিক গ্যালারির উদবোধন করেছেন। সায়েন্স সিটির তরফে বলা হয়েছে এটিই ভারতের বৃহত্তম অ্যাকোয়াটিক গ্যালারি।
এছাড়াও এখানে রয়েছে রোবোটিক পার্ক, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২৭ কোটি টাকা এবং রয়েছে নেচার পার্ক, যেখানে প্রকৃতি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি।