২১ বছর পর চালু হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু, মঙ্গলবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান অসম এবং অরুণাচলবাসীর। ২১ বছর পর স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে তাঁদের। আগামী মঙ্গলবার এই দুই রাজ্যের সংযোগকারী, দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
১৯৯৭ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার হাত ধরে হয়েছিল প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর। অটলবিহারি বাজপেয়ীর আমলে শুরু হয় তার কাজ।
তারপর দশ বছর কংগ্রেস ক্ষমতায়। শামুক গতিতে এগিয়েছে সেতুর কাজকর্ম।
এই সেতু নিয়ে সরকারের এমন গড়িমসিতে বিস্তর ক্ষোভও জমা হয় উত্তর-পূর্বাচঞ্চলের মানুষের।
কারণ, ব্রহ্মপুত্রের উপর তৈরি এই সেতু অসমের তিনসুকিয়া থেকে অরুণাচল প্রদেশের নহরলাগুন যেতে যে সময় লাগত, তা ১০ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে বলে দাবি প্রশাসনের।
সড়ক এবং রেল এই দুই নিয়ে তৈরি বগিবিল ব্রিজ। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে সেনাবাহিনীর যাতায়াতের জন্য অন্যতম মাধ্যম তৈরি হবে এই সেতু।
উত্তর-পূর্ব রেলের সিপিআরও প্রণব জ্যোতি শর্মা বলেন, “ব্রহ্মপুত্রের উপর সেতু তৈরি করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, এই অঞ্চল যেমন ভূমিকম্পপ্রবণ, তেমনই বৃষ্টিপাত এখানে সবচেয়ে বেশি।”
এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫,৯২০ কোটি টাকা।
অসমের স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কথায়, এই সেতু ডিব্রুগড়বাসীর কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াবে।
গুয়াহাটির পর ডিব্রুগড়েও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র তৈরি হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে।