INDvsWI: করোনাদৈত্যের থাবায় দর্শকশূন্য ইডেনে `খেলা হবে`, গ্যালারি যেন শ্মশান!

Tue, 15 Feb 2022-7:04 pm,

ক্রিকেটের ইতিহাসে এই ঘটনা কালো অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৬-৬৭ মরশুমে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ ছিল এটি। শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচটি জিতে ১-০ লিড নিয়েছিল। সিএবি কর্তারা সেই টেস্টে ইডেন ভরানোর জন্য কালোবাজারে অনেক বেশি টিকিট ছেড়েছিল। ফলে প্রথম দিন এত বেশি দর্শক সমাগম হয়েছিল যে ইডেন উপচে পড়েছিল দর্শকদের ভিড়ে। ৮০ হাজার কানায় কানায় ভরে উঠেছিল। টেস্টের দ্বিতীয়দিন অবস্থা চরম খারাপ হয়েছিল। সেদিন অগণিত দর্শক মাঠের ধারে থাকা জায়গায়  ঢুকে পড়ছিল। পুলিস ও সিএবি কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই দর্শকদের থামাতে পারছিলেন না। পিচ নষ্ট করে দেয় কিছু দর্শক। উন্মত্ত দর্শকদের মাঠ থেকে বের করতে লাঠি চার্জ শুরু করে তখনই পুলিসের সাথে দর্শকের দাঙ্গা বেধে যায়। সাগরের মতো উত্তাল জনতা চড়াও হয় পুলিশের ওপর। আকাশবাণীর সামনে পুলিসের ভ্যান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর মাঠে নামতে অস্বীকার করে স্যর গ্যারি সোবার্সের ক্যারিবিয়ান দল। সেই সময় কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিতে উপস্থিত ছিলেন আর এক ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যর ফ্রাঙ্ক ওরেল। তাঁর উদ্যোগে মাঠে নামতে রাজি হন রোহন কানহাই-ক্লাইভ লয়েডরা। শেষ পর্যন্ত এক ইনিংস ৪৫ রানে সেই টেস্ট জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  

১৯৮৪ সালের কথা, ডেভিড গাওয়ারের ইংল্যান্ড ভারত সফরে এসেছে। ওয়াংখেড়ে আর ফিরোজ শাহ কোটলায় হওয়া প্রথম দুটি টেস্টের পরে সিরিজ তখন ১-১, টানটান উত্তেজনার মধ্যেই তৃতীয় টেস্ট শুরু হতে চলেছে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। কিন্তু বল গড়ানোর আগেই ভারতের প্রথম একাদশ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। তার কারণ, হঠাৎই টিম থেকে বাদ দেওয়া হয় কপিল দেবকে। আপাতদৃষ্টিতে সেই ঘটনাটা তখন এ ভাবেই দেখা হয়েছিল যে, দ্বিতীয় টেস্টে বাজে শট খেলে আউট হওয়ার শাস্তি হিসেবেই কপিলকে বাদ দিয়েছিলেন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। সেই সময় নির্বাচক কমিটির প্রধান ছিলেন চান্দু বোরদে। বোরদের নেতৃত্বাধীন কমিটিই নাকি সিদ্ধান্ত নেয় যে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হওয়ার জন্য কপিলকে ইডেন টেস্টের দল থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক ও দেশের সেরা অলরাউন্ডারের দল থেকে হঠাৎ বাদ যাওয়া, ইডেনের আবেগপ্রবণ দর্শকেরা মোটেই ভালভাবে নেয়নি। 'নো কপিল নো টেস্ট' এবং 'গো ব্যাক সুনীল গাভাসকর' স্লোগান উঠতে থাকে। গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল সানির বিরুদ্ধে ব্যনারা। গাভাসকার রাতারাতি ভিলেন হয়ে যান এবং প্রবল ব্যারাকিংয়ের মুখে পড়েন। তাঁর মতো চ্যাম্পিয়নকেও ইডেনের দর্শকেরা পচা সবজি আর পচা ফল ছুড়তে কসুর করেনি। ক্ষুব্ধ সানি এমনটাও ঘোষণা করে ফেলেন যে আর কোনও দিন ইডেনের বাইশ গজে ব্যাট হাতে নামবেন না।  

৮ নভেম্বর, ১৯৮৭ ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল অ্যালান বর্ডারের অস্ট্রেলিয়া। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ডেভিড বুন। অন্যান্য ব্যাটারও ভাল রান করেছিলেন। শেষদিকে মাইক ভেলেটা ছয়টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ বলে ৪৫ রান করেন। শেষ ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৬৫ রান করতে পেরেছে। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে দলটি ২৫৩ রান করে ৫ উইকেট তুলেছিল অজিরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৬ রানে থেমে যায় সাহেবরা। 

১৯৯১ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে কপিল দেব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র হ্য়াটট্রিক করেন ক্রিকেটের নন্দন কাননে। বিপক্ষে ছিল শ্রীলঙ্কা। কপিল দেব নিজের ওভারের শেষ বলে আউট করেছিলেন রোশন মহানামাকে। পরের ওভারে বল করতে এসে পরপর সনৎ জয়সূর্য ও রমেশ রত্নায়েকে-কে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছিলেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ভারতের সেলিব্রেশনের ধুমে কপিলের হ্য়াটট্রিক অনেক দর্শকেরই চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। পরে জায়ান্ট স্ক্রিনে ইনিংসের শেষে পরিসংখ্যান দেখানোর পরে দর্শকরা বুঝতে পারেন কপিল তাঁর কেরিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন।

বর্ণ বৈষম্যের জন্য ১৯৭০ থেকে ১৯৯১, টানা ২১ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই নির্বাসন কাটিয়ে ১৯৯১ সালে প্রথমবার ক্লাইভ রাইসের নেতৃত্বে ভারত সফরে এসেছিল প্রোটিয়াসরা। ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে আয়োজিত হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক একদিনের ম্যাচ। সেই ম্যাচে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত জিতেছিল। সচিন তেন্ডুলকরের ৬২ রানের উপর ভর করে জয় পেয়েছিল ভারত। 

১৯৯৩ সালের ২৭ নভেম্বর সেদিন হিরো কাপের ফাইনালে ভারতের সামনে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই মেগা ফাইনালে দুরন্ত মেজাজে বোলিং করেছিলেন অনিল কুম্বলে। বিনোদ কাম্বলীর ৬৮ রান করেছিলেন। আজহার, সচিন, অজয় জাদেজা, কপিলের ব্যাট থেকেও এসেছিল বড় রান। সেই সুবাদে ৭ উইকেটে ২২৫ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুম্বলের স্পিনের ছোবলে উড়ে যায় ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। ১২ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন জাম্বো। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২৩ রানে অলআউট করে ১০২ রানে জিতে ট্রফি হাতে তুলে নেয় ভারত।  

ম্যাচ গড়াপেটার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হলেও, ইডেন কিন্তু প্রাক্তন অধিনায়ককে দুই হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছে। ১৯৮৪ সালে অভিষেক টেস্টে করেছিলেন ১১০ রান। এরপর ১৯৮৭ সালে এই মাঠেই করেছিলেন ১৪১ রান। সর্বোচ্চ ১৮২ রান এসেছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারত ৩২৯ রানে হেরে গেলেও ব্যাট হাতে প্রাক্তন অধিনায়ক ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। প্রথম ইনিংসে ৭৭ বলে ১০৯ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৫৫ বলে ৫২ রান। এরপর আবার ইডেনে সফল হন আজ্জু। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ইডেনের বাইশ গজে ৭ টেস্টে তাঁর রান ৮৬০। গড় ১০৭।৫০। সঙ্গে রয়েছে ৫টি শতরান ও ২টি অর্ধ শতরান।  

১৯৯৬ সালের ১৩ মার্চ। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুরুটা ভালই করেছিল আজহারের ভারত। ৮ উইকেটে ২৫১ রানে অর্জুনা রনতুঙ্গার দলকে আটকে রাখার পরেও জয় আসেনি। জয়সূর্য, মুরলীর স্পিনের ছোবলে ১২০ রান তুলতে গিয়ে ৮ উইকেট হারায় ভারত। সচিন দুর্দান্তভাবে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু ৬৫ রানে লেগ সাইটে খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি। ২ উইকেটে তখন ৯৮ রান। এরপর ৩২ রান নিতে গিয়ে ভারত হারায় ৬ উইকেট। অবস্থা তখন ৮ উইকেটে ১২০ রান। উত্তাল হয়ে উঠল ইডেনের গ্যালারী। চরম হতাশা থেকে মাঠে মধ্যে মাঠের মধ্যে বোতল ছুড়ে মারতে শুরু করে ক্রিকেট পাগল দর্শকরা। এমনকি গ্যালারিতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চোখের জলে মাঠ ছেরেছিলেন কাম্বলী। অবস্থা এতটাই খারাপ হলো যে বল আর মাঠে গড়ালো না। ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। এর সুবিধা পায় শ্রীলঙ্কা।

১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্টে ঘটেছিল অপ্রীতিকর ঘটনা। প্রথম ইনিংসে শোয়েব আখতারের ইনসুইং ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছিলেন সচিন। তখন থেকেই ইডেনের গ্যালারির গরম হয়ে উঠেছিল। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সেই শোয়েবের গায়ে ধাক্কা লেগে রান আউট হয়েছিলেন 'মাস্টার ব্লাস্টার'। এমনটাই অভিযোগ ওঠে। সচিন রান আউট জয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতেই পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার উদ্যোগে মাঠে নেমে দর্শকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন সচিন। তবে এতে লাভ হয়নি। ফলে ম্যাচের বাকিটা দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়। সেই টেস্ট ৪৬ রানে জিতে যায় ওয়াসিম আক্রমের পাকিস্তান। 

 

ইডেনে ২০০১-এ ভারতের টেস্ট জয় ক্রিকেটের লোকগাথায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। টানা ১৬টি ম্যাচ জিতে স্টিভ ওয়ার অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া ভারতে খেলতে এসেছিল। প্রথম টেস্টেই ভারতকে মুম্বইয়ে হারিয়ে কলকাতায় নামে অজিরা। এবং কলকাতা থেকেই অস্ট্রেলিয়া দলের শেষের শুরু। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৪৪৫ রান তুলে নেয়। দ্বিতীয় দিনে ভারত ১২৮ তুলতে গিয়ে ৮ উইকেট হারায়। ভারত ফলো-অন হজম করার পরে নিশ্চিত হারের সামনেই দাঁড়িয়েছিল সৌরভ বাহিনী। তৃতীয় দিন লক্ষ্মণ ও দ্রাবিড় জুটি বাঁধার পরেও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২০ রান পিছিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু ম্যাচের চতুর্থ দিনে অবিশ্বাস্য কীর্তি স্থাপন করেন দুই ভারতীয়। গোটা দিন ব্যাটিং করে পুরোপুরি হতোদ্যম করে দেন অজি বোলিংকে। লক্ষ্মণ ২৮১ করে আউট হন। দ্রাবিড় ১৮০ তোলেন। পরে বল করতে নেমে সচিন ও ভাজ্জির সামনে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং নতজানু হয়। এবং ফলো-অন হজম করেও ১৭১ রানে ম্যাচ জেতার বিরলতম নজির গড়ে ভারত। আজ পর্যন্ত ইডেনে ভারতের সবচেয়ে ঐতিহাসিক জয় সম্ভবত এটি। 

সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৭২ তম ওভারে বল করতে আসেন সেই সময় ভারতের তরুণ স্পিনার হরভজন সিং। আর সেই ওভারে বল করতে এসে ভাজ্জি দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন, যা আজও ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, শেন ওয়ার্নকে। 

২০১৪ সালে ইডেনের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে রোহিত শর্মার ব্যাটিং। এক বছর আগেই সচিনের ১৯৯তম টেস্টে অভিষেক হয় রোহিতের। ২০১৪-য় বিধ্বংসী ফর্মে ইডেনে নামেন রোহিত। সমস্ত রেকর্ড তছনছ করে দেন একাই। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই একদিনের ম্যাচে ৩৩টি বাউন্ডারি ও ৯টি ওভার বাউন্ডারি মেরে একাই ২৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেছিলেন 'হিট ম্যান'। অজন্থা মেন্ডিস, কুলশেখরার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিলেন এই মুম্বইকর। 

২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল আয়োজিত হয়েছিল সেবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করেছিল অইন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড। প্রায় জিতেই যাচ্ছিল সাহেবরা। তবে শেষ ওভারে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। বেন স্টোকসকে পরপর চার বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ড্যারেন স্যামির হাতে তুলে দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন ট্রফি। 

২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কুলদীপ যাদব। কাততালীয়ভাবে সে বার অজিদের বিরুদ্ধে ৩৩ ওভারেই হ্য়াটট্রিক করেছিলেন। সেই ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কুলদীপ। ফিরিয়েছিলেন ম্যাথু ওয়েড, অ্যাস্টন অ্যাগর ও প্যাট কামিন্স। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার সুবাদে কপিল দেব ও চেতন শর্মার পর তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক গড়ার নজির গড়েছিলেন এই চ্যায়নাম্যান। এরপর অবশ্য ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। 

ভারতের মাটিতে ২০১৯ সালে প্রথমবার গোলাপি বলের টেস্ট আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে এক ইনিংস ৪৬ রানে জিতেছিল ভারতীয় দল। তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ১৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। দুই ইনিংসে ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের দাপটে দুই ইনিংসে 'তাসের ঘর'-এর মতো ভেঙে পড়ে টাইগার্সদের ব্যাটিং। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link