গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই চোট, ধূপগুড়ি থেকে উদ্ধার আহত পরিযায়ী সাইবেরিয়ান পালাস গাল
নীলেশ্বর সান্যাল: ধূপগুড়িতে উদ্ধার সাইবেরিয়ার। পুকুরে খেলে বেড়াচ্ছিল পরিযায়ী পাখি সাইবেরিয়ান পালাস গাল। উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসী ও পরিবেশ কর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ধূপগুড়ি বগরিবাড়ি এলাকায় আহত হয়ে পড়ে যায় একটি পরিযায়ী পাখি।
গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় পুকুর গুলিতে উড়ে গিয়ে মাছ খাচ্ছিল সে। পাখিটিকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসাহী মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। তাই পাখিটিকে চোখে চোখে রাখছিল গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় রায় জানান, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এখানে এসেছে এই পাখিটি। বিভিন্ন পুকুরে ঘুরে ঘুরে মাছ খাচ্ছিল। এই ধরনের পাখি আমরা আগে দেখিনি। এর পা অনেকটা হাসের মতো। স্থানীয় বাসিন্দা বসন্ত রায় বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমাদের বাড়ির পুকুরে আসে। মাছ খাচ্ছিল। কিন্তু উড়তে পারছিলো না। তার শারিরীক অবস্থা দেখে আমি বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে খবর দেই। তারা সন্ধে নাগাদ এসে উদ্ধার করে নিয়ে গেল।
ঘটনায় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় জানান, অসুস্থ পাখির খবর পেয়ে আমাদের রেঞ্জের কর্মীরা যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। এখন আমরা এটিকে গরুমারায় পাঠাচ্ছি চিকিৎসার জন্য। এটি একটি সাইবেরিয়ান গাল প্রজাতির পাখি। কাছেই গজলডোবা। সেখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে।
আমাদের প্রাথমিক ধারণা এই পাখিটি সেখানেই যাচ্ছিল। কোনওভাবে জখম হয়ে এখানে পড়ে যায়। পাখি প্রেমী ও পরিবেশ কর্মী সূত্রে জানা গিয়েছে চলতি বছরে শীতকালে যেই সমস্ত পরিযায়ী পাখিরা উত্তরবঙ্গের দিকে আসে তাদের একটি অংশ ইতিমধ্যেই আসা শুরু করেছে। পাখি বিশেষজ্ঞরা এই পাখিটিকে বলছে ফাস্ট উইন্টার পালাস গাল প্রজাতির পাখি।