IPL 2022, KKRvsCSK : Dhoni ধামকার পরেও কোন কোন কারণে জিতল KKR? ছবিতে দেখুন
নতুন বল হাতে নিয়েই দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের উইকেট তুলে নেন উমেশ যাদব। ফলে পাওয়ার প্লে-তে নাইটরা মাত্র ৩৫ রান দেয়। ম্যাচের সেরাও হন টিম ইন্ডিয়ার এই অভিজ্ঞ পেসার।
সিএসকে তখন মাত্র ২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে। ঠিক সেই সময় বরুণের হাতে বল তুলে দিলেন শ্রেয়স। টানা চার ওভার বল করিয়ে চেন্নাইয়ের রান তোলার গতি কমিয়ে চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন 'মিস্ট্রি স্পিনার'। ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন বরুণ।
বিপজ্জনক দেখাচ্ছিল দুই ব্যাটার রবীন উথাপ্পা এবং অম্বাতি রায়ডুকে। পর পর দুই ওভারে দু’জনকে তুলে নেয় কলকাতা। আরও ব্যাকফুটে চলে যায় সিএসকে। শুরুতে পুরো ২০ ওভার জুড়েই তুখোড় ফিল্ডিং করে কেকেআর। এক বার মাত্র ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে মিস ফিল্ড করতে দেখা যায়। এ ছাড়া ফিল্ডিংয়ে ফুল মার্কস পাবে কেকেআর।
আইপিএল শুরুর আগে উইকেটকিপিং নিয়ে চিন্তা ছিল। তবে প্রথম ম্যাচেই সৌরাষ্ট্রের এই ব্যাটারই নজর কেড়ে নিলেন। উইকেটের পিছনে দুরন্ত রিফ্লেক্স, নড়াচড়া, দক্ষতা— সব কিছুতেই দুরন্ত তিনি। রবিন উথাপ্পাকে দুরন্ত মেজাজে স্টাম্প করে ঝটকা দিলেন শেল্ডন। এতটাই নিপুণ ছিল তাঁর হাতের কাজ যে শুরু হয়ে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তুলনা। সেই তুলনা আবার করলেন এক ও অদ্বিতীয় সচিন তেন্ডুলকর। যুবরাজ সিংও তাঁর প্রশংসা করেছেন।
ধোনির মতো শ্রেয়সও ঠাণ্ডা মাথার অধিনায়ক। সেটা দিল্লি ক্যাপিটালসে থাকার সময় প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। নাইট সংসারে এসেও সেই দাপট দেখালেন এই মুম্বইকর। হাতের তালুর মতো চেনা ওয়াংখেড়ের বাইশ গজকে চেনেন এই মুম্বইকর। বোলিং চেঞ্জ থেকে শুরু করে ফিল্ড সেটিং দক্ষতার সঙ্গে করলেন নতুন নাইট সেনপতি। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও প্রাধান্য দিলেন দলকেই। তাই তো তিন নম্বরে নিজে না গিয়ে পাঠিয়ে দেন নীতীশ রানাকে।
পাওয়ার প্লে-তে পিছিয়ে যাওয়ার জন্য পুরো ম্যাচে পিছিয়ে যায় চেন্নাই। রান তোলার গতি আর বাড়েনি। পরের চার ওভারে আরও ২টি উইকেটে পড়ে তাদের। রান হয় মাত্র ২২। পরের পাঁচ ওভারে আরও ভাল বল করে কলকাতা। মাত্র ১৬ রান তোলে চেন্নাই। তাই শেষ দিকে ব্যাট চালিয়ে ধোনি ৩৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকলেও, চেন্নাই ৫ উইকেটে মাত্র ১৩১ রান তোলে।
অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার নিজে না নেমে তিন নম্বরে নীতীশ রানাকে নামিয়ে দেন। সেই সময় দু’জন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও মিচেল স্যান্টনার বল করছিলেন। সেই কারণেই বাঁহাতি রানাকে আগে নামানো হয়। রানা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ১৭ বলে ২১ রানের উপযোগী ইনিংস খেলেন। ফলে জয় আরও সহজ হয়ে যায়।
অ্যারন ফিঞ্চ দলে এলে তিনি সুযোগ পাবেন কিনা জানা নেই। তবে প্রথম ম্যাচেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন অজিঙ্কা রাহানে। ওপেন করতে নেমে খেললেন ৩৪ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। ইনিংস ৬টি চার ও ১টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল।