ফুটবল মাঠে যাওয়া অপরাধ! প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী মহিলা
ছেলেদের পোশাক পরে তিনি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছিলেন। কারণ, তাঁর দেশে মহিলাদের ফুটবল মাঠে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সময় তাঁর আসল পরিচয় জানাজানি হয়ে যায়। এর পরই যেন আকাশ ভেঙে পড়ে সাহার খোদায়ারির উপর।
এস্তেঘলাল এফসি তাঁর প্রিয় দল। সেই দলের ম্যাচ দেখতেই স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন সাহার। কিন্তু ইরানে ফুটবল স্টেডিয়ামে মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ। তাই ছদ্মবেশেই স্টেডিয়ামে যেতে হয়েছিল সাহারকে। কিন্তু শেষমেশ তাঁর পরিচয় জানাজানি হওয়ায় ধুন্ধুমার লেগে যায়।
২৯ বছর বয়সী সাহারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তার পরই আদালতের বাইরে প্রিয় দলের জার্সি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। সাহারের ঘনিষ্ঠদের দাবি, বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হত তাঁকে। সেই আশঙ্কায় মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
১৯৮১ সাল থেকে ইরানে মহিলাদের স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছিলেন সাহার। যদিও সাহার এমন পরিণতির পর গর্জে উঠেছে ইরানের হাজার হাজার মহিলা। তাঁদের সবার বক্তব্য, ইরানে জন্মেছিলেন বলেই তাঁকে এমন শাস্তি পেতে হল।
ইরানের কিংবদন্তি ফুটবলার আলি কিরিমি সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে যাওয়া বয়কট করার আর্জি জানিয়েছেন। এস্তেকলাল এফসির তরফে সাহারের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। এমনকী ইতালির ক্লাব রোমার তরফেও এমন ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।