তৃণমূলে গুরুত্ব কমছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের?
সুতপা সেন: বাম জমানায় তিনিই ছিলেন বিরোধী দলনেতা। পরিবর্তনের পর ক্রমেই দলের মধ্যে গুরুত্ব হারাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? ঘটনাক্রম অন্তত তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে মত অনেকের।
বুধবার দলবিরোধী কাজের অভিযোগে দুই সাংসদ অনুপম হাজরা ও সৌমিত্র খাঁকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। সৌমিত্র নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আর অনুপম পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। আর এর মধ্যেই সাংগঠনিক বদল করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
নদিয়া জেলার দায়িত্বে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থকে না সরিয়েই আনা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। অনেকেই বলছেন, প্রবীণ নেতাকে কার্যত সরানোই হল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যেও তা খানিকটা স্পষ্ট। তিনি জানান, পরামর্শ দেবেন। তাঁর পক্ষে দৌড়ঝাঁপ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে বায়ো-টেকনোলজির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ব্রাত্য বসুকে। অতিসম্প্রতি পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাপস রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই রয়েছেন।
তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা, নতুন মুখদের সামনে আনছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে কি গুরুত্ব হারাচ্ছেন এক কালের বিরোধী দলনেতা?