Mutton: প্রিয় খাসির মাংস, পাতে এসো... তুমি তো তেমন খারাপ নও! বলছে রিসার্চ...
সৃজিতা মৈত্র: খাসির মাংস আর ভালোবাসা যেন সমার্থক শব্দ। চিকেন বিরিয়ানি যদি বান্ধবী হয়, মটন বিরিয়ানি তা হলে প্রেমিকা। ওদিকে বিফ রোল, চিলি পর্ক সেগুলোকেও বাদ দিলে চলে না। সাধে কী আর পেটুক বাঙালি! কিন্তু পেটুক হয়েও বা কী হবে? মাসে একদিন-দু’দিন খাসির মাংস খেয়ে চিন্তায় বাকি মাস ঢেঁকুর তুলেই মরতে হয়। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে আসা তথ্য থেকে দুশ্চিন্তা তো দূর হচ্ছেই, এমন কী সম্পূর্ণ অন্য তথ্য সামনে তুলে ধরেছে।
গরু, শুকর, খাসি বা পাঁঠা, ভেড়া ইত্যাদি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাংসকে রেড মিট বলা হয়ে থাকে। রেড মিটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ইত্যাদি পাওয়া যায়। তবে শরীরে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ায়। ফলে, উচ্চ রক্তচাপ সহ হৃদরোগের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয় বলেই এতদিন বিশেষজ্ঞরা দাবি করে এসেছে। কিন্তু আমেরিকার এক দল গবেষণা করে অন্য তথ্য বার করে এনেছে।
ইউএস ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) স্থানীয় ১৮০ জন মানুষের ওপর গবেষণাটি করেন। রেড মিট খেলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, সেরকম বিশেষ সম্পর্ক খুঁজে পাননি।
এই ফলাফলে গবেষকরাও বেশ অবাকই হয়েছেন। এই গবেষকরা রেড মিটের পাশপাশি ধূমপান ও শাকসবজি নিয়েও গবেষণা করেন। প্রাপ্ত ফলাফলকে ফাইভ স্টার রেটিঙের মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন।
সেক্ষেত্রে অপক্রিয়াজাত রেড মিট খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, এই স্টেটমেন্টকে সিঙ্গল স্টার রেটিং দিয়েছে। অর্থাৎ, তাঁরা স্পষ্ট দাবি করছে স্ট্রোকের সঙ্গে রেট মিটের সম্পর্ক নেই।
পাশাপাশি গবেষণা থেকে স্ট্রোকের সঙ্গে স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ডায়াবেটিসের কথাও উঠে এসেছে। সেক্ষেত্রে রেড মিট খেলে এগুলি হওয়ার সম্ভবনাকে টু স্টার দিয়েছেন গবেষকরা।
ধূমপান ও শাকসবজির ক্ষেত্রে যদিও অনুমান অনুযায়ী ফলাফল এসেছে। ধূমপান করলে ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, এই স্টেটমেন্ট সর্বচ্চ রেটিং অর্থাৎ ফাইভ স্টার পেয়েছে।
অন্যদিকে, শাকসবজির ক্ষেত্রে গবেষণায় উঠে এসেছে সপ্তাহে চারদিন সঠিক পরিমাণে শাকসবজি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ২৩ শতাংশ কমে যায়। তা হলে, এবার পেটেরও আরাম, মনেরও শান্তি। সাধের মাংস নির্দ্বিধায় মন ভরে খাওয়া যেতেই পারে।