উপত্যকার নিশ্বাসে হেমন্তের আশ্বাস! সন্ত্রাসের আতঙ্ক ছাপিয়ে ভূস্বর্গে ডানা মেলেছে মুগ্ধতা
সন্ত্রাসের রক্ত উপত্যকার বুকে লালচে আভা বিছিয়ে দিলেও, ভূস্বর্গ মাঝে মাঝেই তার অনুপম মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হয় না। হেমন্ত হোক বা শীত, কিংবা বসন্তে ভূস্বর্গের বুকে রং ধরে। আতঙ্ক কাটিয়ে পর্যটন ডানা মেলে।
আবেগে ভাসতে ছুটে আসেন পর্যটকরা। সারা শরীরে মেখে নেন খুশি। তখন কোথায় যেন উধাও হয়ে যায় সীমান্তপারের সন্ত্রাস। রক্তের লালচে আভাতেও উপত্যকার নিশ্বাসে হেমন্তের আশ্বাস। হাত পেতে দাঁড়িয়ে পর্যটন।
নীলচে আকাশের ছায়া হ্রদের জলে প্রেমঘন অবয়ব তৈরিতে ব্যস্ত। গাছে গাছে হলুদের বিচ্ছুরণ। পর্যটকদের নিশ্চিন্ত পা রাখা।
এক লহমায় উধাও ভয়। সন্ত্রাসের চোখরাঙানি কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে আসে উপত্যকার উদ্যানে। মোহময় টান চেতনাকে নাড়া দিয়ে যায়। কবিদের কবিতায় ভেসে ওঠা ছবি যেন চোখের সামনে আড়মোড়া ভাঙছে।
সন্ত্রাস-দুর্যোগ হোক কিংবা রাজনৈতিক সমীকরণ, ভূস্বর্গে হেমন্ত টিকে থাকবেই কবিতার চরণে। পর্যটকদের চোখের পাতায় ঘুম ভাঙবেই অপরিসীম সৌন্দর্য। হৃদয় উত্ফুল্ল হবেই। সবুজ-হলুদের যুগলবন্দিতে সেলফির নির্যাস। লাল ফুলের বনে রক্ত উধাও। শুধুই চোখ ভরে দেখার মুগ্ধতা। সরে থাক ভয়। দূরে থাক সন্ত্রাস। ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর নয়, হাতছানি দিক স্বর্গের অনুপম রহস্য।