জাপানে ধুঁকছেন বয়স্ক ধান চাষিরা, কেন জানেন?
'মাছে ভাতে জাপানি' - কথাটি আপামর বাঙালির কাছে উদ্ভট লাগলেও কথাটি কিন্তু ষোলো আনা সত্যি। ‘ভেতো’ বাঙালির মতো জাপানিরাও প্রতি দিনের ভাত খেতে ভালোবাসেন। তাই সেখানে জাপানি চাল ও বেশ জনপ্রিয়।
তবে দিন বদলের সঙ্গে এই ছবির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ আধুনিক প্রজন্ম ক্রমশ কৃষি ব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাই ধানের জোগান অব্যাহত রাখতে অন্য দেশ থেকে ধান আমদানি করছে জাপান।
এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বয়স্ক জাপানি ধান চাষিরা। বিশ্ববাজারের ধানের ব্যবসায় এঁটে উঠতে না পেরে তাদের ভবিষ্যৎ ক্রমশই বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
যত দিন যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে ধানের ব্যবসায় ততই কমে যাচ্ছে। জাপানি কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ১৯৬৩ সালে মাথাপিছু ধানের ব্যবহার ছিল ১১৮.৩ কিলোগ্রাম। ২০১৫ সালে তা কমে হয়েছে ৫৪.৬ কিলোগ্রাম।
তবে ধানের ব্যবহার কমে গেলেও জাপানি সংস্কৃতিতে কিন্তু ধান কে এখনও উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়। শিনটো সম্প্রদায়ের লোকেরা ধর্মীয় কাজে এই ধান ব্যবহার করেন। তাই ধানের চাষ এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
জাপান সরকার ধানের ব্যবসাকে পুনরায় মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য সচেষ্ট হয়েছে। এই জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
তবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিশেষজ্ঞ মিতসুইয়ুশি আন্দোর মতে, বিশ্ববাজারে জাপানি ধানের ব্যবসার ভবিষ্যত মোটেও উজ্জ্বল নয়।