সিল করা বোতলের সঙ্গে কুমারী মেয়েদের তুলনার পরও অনড় কনক সরকার
মহিলাদের সিল করা বোতলের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন যাদবপুরের অধ্যাপক কনক সরকার। তাঁর ফেসবুক পোস্টে আছড়ে পড়ছে একের পর এক প্রতিবাদী কমেন্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থান বদলাতে রাজি নন কনকবাবু।
ফেসবুকে কনক সরকার বাক্ স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে লিখেছেন, ভুল কিছু বলিনি। সংবিধান অনুযায়ী কথা বলেছি। নিজের মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে আমার। সামান্য ভুল হয়েছে তবে মোটের উপর আইনিবিরুদ্ধ কথা বলিনি।
এই পোস্টটি নিয়ে সমালোচনার পরও অনড় কনক সরকার। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, হিন্দু ভগবানকে বিরূপ মন্তব্য করার পরও শ্রীজাতকে সমর্থন করছি। একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যিনি লিখেছিলেন, তাঁতে সমর্থন করেছি। বিভিন্ন সেমিনারে পুরুষদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নারীবাদীরা। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। সমাজ তত্বের গবেষণার সঙ্গে আমি যুক্ত। সমাজের ভাল জন্যই লিখেছি। এরইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা খারিজের কথা মনে করিয়ে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে তাঁর।
ফেসবুক পোস্টে কনক সরকার লিখেছিলেন, সিল না করা নরম পানীয়ের বোতল বা বিস্কিট প্যাকেট কিনবেন? কুমারী মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার সুবিধা বোঝে না বোকা ছেলেরা। জন্মের সময় থেকে প্রাকৃতিকভাবে সিল করা থাকে মেয়েরা। কুমারী মেয়ের অর্থ মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং স্বচ্ছতা। অনেক ছেলেরাই মনে করেন, কুমারী মহিলা পরীর মতো।
কনক সরকারের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠনের (JUTA) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতীম রায়। এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনিয়ে মুখ খোলেনি।
পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনেক চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ''সমাজের কিছু মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন এখনও হয়নি। মহিলাদের এখনও একইভাবে দেখেন তাঁরা''।