Ketugram: `এমন অত্যাচারের পর যেন কেউ চুপ করে না থাকে`, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে লড়াইয়ের বার্তা রেণুর
নার্সের চাকরি পছন্দ হয়নি স্বামীর। বরং এনিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল স্বামী সরিফুল। শেষপর্যন্ত স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি কেটে থামাতে চেয়েছিল সরিফুল। সেই রেণু সোমবার ছাড়া পেলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। আর ছাড়া পেয়েই লড়াইয়ের বার্তা দিলেন লড়াকু এই তরুণী। টানা ৮ দিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে লড়াই করার পর এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রেণু।
-তথ্য ও ছবি -চিত্তরঞ্জন দাস
হাসপাতালের বেডে শুয়েই স্বামীর শাস্তির দাবি করেছিলেন রেণু। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রেণু বলেন, এভাবে যারা অত্যাচারিত হচ্ছে তারা যেন চুপ করে বসে না থাকে। লড়াইয়ের জন্য এগিয়ে আসে। প্রসঙ্গত, হাসপাতলেই বাঁ হাতে লেখা অভ্যাস শুরু করেছেন রেণু। তবে আর যাই হোক, শ্বশুরবাড়িতে যেতে চায় না সে। এখন একটাই শপথ, মানুষের সেবা করা। -তথ্য ও ছবি -চিত্তরঞ্জন দাস
রেণু খাতুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে বলেছিলেন, রেণুর চিকিত্সার ভার নেবে সরকার। পাশাপাশি তার চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে। এনিয়ে আজ রেণু বলেন, রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। চিকিত্সকদেরও ধন্যবাদ। -তথ্য ও ছবি -চিত্তরঞ্জন দাস
এদিকে, হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, রেণু এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। ওর ডান হাতের কব্জি কেটে গেলেও কৃত্রিম হাত যাতে বসানো যায় তারও ব্যবস্থা হচ্ছে। -তথ্য ও ছবি -চিত্তরঞ্জন দাস
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে আপত্তি ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের নার্সিং স্টাফ রেণুর খাতুনের স্বামীর। সরকারি নার্সিং চাকরির লিস্টে নাম আসতেই নৃশংস ভাবে রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি কেটে দেয় তার স্বামী সরিফুল। তারপরেও দমিয়ে রাখা যায়নি রেণুকে। হাসপাতাল থেকেই প্রতিজ্ঞা করে সে চাকরি করবে। হাসপাতালেই বাঁ হাতে লেখা অভ্যাস শুরু করে। গ্রেফতার হয়েছে শ্বশুর শাশুড়িসহ ৬ জন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেনুর পাশে দাঁড়িয়েছেন, কাটা হাতে বসবে কৃত্রিম হাত। সেই আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। -তথ্য ও ছবি -চিত্তরঞ্জন দাস