ওজন বেড়েছে সন্তানের, Corona Third wave-য়ে থাকতে পারে ঝুঁকি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
নিজস্ব প্রতিবেদন- অভিভাবকদের এখন চিন্তার বিষয়ে হয়ে উঠেছে সন্তানের স্বাস্থ্য। কারণ, দেখা যাচ্ছে একটুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, থার্ড ওয়েভে বড় বা বয়স্কদের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর মুহূর্ত তৈরি হতে পারে শিশুদের জন্য। তাই শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউনে ঘরবন্দী শিশুদের শরীর ভারী হয়ে গিয়েছে। সমীক্ষা বলছে একাংশ মোটা হয়েছে গোটা লকডাউনে। শরীর তেমনভাবে নড়াচড়া হচ্ছে না, কার্যত বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা একটু একটু করে হারাতে বসেছে শিশুরা। যার জন্যই অল্পতেই শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে তাঁদের।
অনেক বাবা-মা উপলব্ধি করেন না, তবে স্থূলতা বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। বাচ্চারা এখন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়ির মধ্যে থাকছে। একটি আসীন জীবনধারা তাদের স্থূলকায় এবং নিষ্ক্রিয় করে তুলেছে। আর বাড়িতে বসে জাঙ্ক ফুড কেবল অবিরাম সমস্যাটিকে ইন্ধন জুগিয়ে গিয়েছে। এতে একাংশের ইমিউনিটি পাওয়ার জিরোতে গিয়ে ঠেকছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য অ্যালার্মিং সময়। তাঁদের পরামর্শ, অভিভাবকরা যেন যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিয়ে নেন। পাশাপাশি শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে বাচ্চার স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখেন।
বাচ্চাদের এখন মানসিক অবস্থা বিগড়ে রয়েছে। কিন্তু কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে সেভাবে প্রকাশ পাওয়া যাচ্ছে না। যখনই দেখবেন, একটুতেই বাচ্চা খিটখিট করছে, ঘুমোচ্ছে না, খাওয়ায় অরুচি আসছে, তখনই বুঝবেন সন্তানের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। রাতারাতি কেয়ার নিন। মনে রাখবেন, ছুটে-খেলে বেড়ানোর সময় তারা দীর্ঘদিন বাড়িতে বন্দী। অনলাইন ক্লাস। বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা সাক্ষাৎ নেই তাঁদের। সারাক্ষণ মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপে মুখ গুজে রয়েছে তারা। আর এতেই বাড়ছে ওজন।
অতিরিক্ত ওজন, হঠাৎ মোটা হয়ে যাওয়া শ্বাস প্রশ্বাসে ব্যঘাত ঘটায়। মেটাবলিজম রেট কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে সন্তানকে শরীর চর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবার, রুটিন মাফিক জীবনযাপনের মধ্যে বেঁধে ফেলুন।