Singer KK Dies: ক্লাস সিক্স থেকে প্রেম, স্ত্রীয়ের জন্যই কেকে বানিয়েছিলেন `ইয়ারোঁ দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়`
সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: ক্লাস সিক্স থেকে জ্যোতি ও কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ একে অপরকে চিনতেন। সেই বন্ধুতা জারি ছিল জীবনের শেষদিন পর্যন্ত।
একসময় ডাক্তার হতে চাইতেন। তারপর বোঝেন যে গানই তাঁর একমাত্র ভালোবাসা। পাশে ছিলেন প্রেমিকা।
তবে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হবে, সংসার চালাতে হবে, প্রেমিকার বাবা মায়ের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী গান ছেড়ে সেলসে চাকরি নিয়েছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ।
১৯৯১ সালে জ্যোতিকে বিয়ে করেন কেকে। স্ত্রী পাশে দাঁড়ান কৃষ্ণকুমারের। চাকরি ছেড়ে গানের জগতেই নিজের নাম করতে চান কেকে।
আদ্যপান্ত ফ্যামিলি ম্যান কেকে, কিছু মাস আগে কপিল শর্মা শোয়ে এসে সেকথাই ফাঁস করেন বন্ধু পলাশ সেন।
৩৫০০ বিজ্ঞাপনে জিঙ্গল গেয়েছেন কেকে। তারপর দিল্লি থেকে পাড়ি দেন মুম্বইয়ে। মুম্বইয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় ব্রেক পান তিনি। গুলজারের সংগীত পরিচালনায় মাচিসে গান গেয়েছিলেন।
তবে তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষ পৌঁছে দিয়েছিল ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর প্রথম অ্যালবাম পল। 'ইয়ারোঁ দোস্তি বড়ি হসিন হ্যায়' আর 'হাম রহে ইয়া না রহে কাল' গান দুটি আজও সমান জনপ্রিয়।
এক সাক্ষাৎকারে কেকে জানান যে স্ত্রী জ্যোতির জন্যই এই গান বানিয়েছিলেন তিনি। বাস্তবের ইমোশন গানে মিশে যেতেই তা এক লহমায় মন ছুঁয়ে গিয়েছিল আপামর ভারতবাসীর। মঙ্গলবার কলকাতায় শেষ কনসার্টেও এই গান গেয়েছেন কেকে আর তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পঞ্চভূতে বিলীন নয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক কেকে।
শেষবারের জন্য তাঁকে নিয়ে যেতে বুধবার এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি। বৃহস্পতিবার চোখের জলে ৪০ বছরের বন্ধু, মহব্বতকে বিদায় জানালেন জ্যোতি। তবে জ্যোতি ও কেকের গল্প এখানেই শেষ নয়। তাঁদের বন্ধুতার কাহিনী আজীবন মুখে মুখে ফিরবে আপামর ভারতবাসীর কারণ ইয়ারোঁ দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়...