EXPLAINED | KL Rahul | IPL 2025: নবাবের শহরের পরাধীনতায় দমবন্ধ লাগত! রাহুল-বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন ভারতীয় ক্রিকেট...
আইপিএল নিলামের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে নভেম্বরের ২৪ ও ২৫ তারিখ নাকি তা সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে নিলামের আগেই বিরাট খবর চলে এল। ফের চর্চায় লখনউ সুপার জায়ান্টস ও কেএল রাহুল!
২০২২ সাল থেকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ছিলেন রাহুল। তবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ধরে রাখেনি। রাহুলকে লখনউ ছেড়ে দেওয়ায় আসন্ন আইপিএল নিলামে তিনি নিজের নাম তুলছেন। ২০২২ সালের আইপিএলে রাহুল ৬১৬ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় সর্বাধিক রানশিকারি ছিলেন তিনি। যদিও তার পরের বছর চোটের কারণে আইপিএলের মাঝ পথেই বেরিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ২০২৪ সালের আইপিএলে রাহুল আবার তাঁর টিমের সর্বাধিক রানশিকারি হলেন। করেছেন ৫২০ রান।
এলএসজি ধরে রেখেছে নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণোই (১১ কোটি), ময়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি), আয়ুষ বাদোনি (৪ কোটি), মহসিন খানকে (৪ কোটি)।
এলএসজি-র রিটেনশন নিয়ে দলের মালিক সঞ্জীব বলেছিলেন, 'আমাদের মাইন্ডসেট খুবই সহজ ছিল। আমরা তাদেরকেই ধরে রেখেছি যাদের জয়ের মানসিকতা রয়েছে। যারা ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষার আগে দলকেই রাখে।'
রাহুল আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্য়ানেলে গোয়েঙ্কার বিবৃতির জবাব দিয়েছেন। রাহুল বলেন, 'সিদ্ধান্ত তো আগেই হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি না ঠিক কী কী মন্তব্য করা হয়েছে। তবে তা রিটেনশনের পরেই করা হয়েছে। শুধু মনে হয়েছে আমি নতুন করে শুরু করতে চেয়েছিলাম। আমি আমার বিকল্পগুলি অন্বেষণ করতে চেয়েছিলাম এবং আমি এমন কোথাও খেলতে চেয়েছিলাম যেখানে আমি স্বাধীনতা পাব। দলের পরিবেশ অনেক ফুরফুরে হবে। বেশি ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে। কারণ আইপিএলে এমনিই প্রচুর চাপ থাকে।'
রাহুল বলেন, 'আমি জিটি (গুজরাট টাইটান্স) এবং সিএসকে (চেন্নাই সুপার কিংস) এর মতো ড্রেসিংরুমের পরিবেশ চেয়েছিলাম। আমি ভারসাম্যপূর্ণ এবং শান্ত পরিবেশ চেয়েছিলাম। একজন খেলোয়াড় হিসাবে যা গুরুত্বপূর্ণ, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে এলএসজি-তে এমনই কিছু চেষ্টা করেছিলাম। পরে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সময়েও এমন ছিল। কিন্তু কখনও কখনও আপনাকে দূরে সরে যেতে হয় ও কিছু খুঁজে বার করতে হয়।'
চলতি বছর লখনউ সুপার জায়েন্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের, খেলা শেষ হওয়ার পরেই দেখা গিয়েছিল যে, লখনউ দলের মালিক সঞ্জীব স্ট্যান্ড থেকে নেমে এসেছিলেন মাঠে। তারপর ভরা স্টেডিয়ামে তিনি তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন তাঁর অধিনায়ক রাহুলকে ! রাহুল চুপ করে সব শুনে যান। গোয়েঙ্কা ঠিক কী বলেছিলেন রাহুলকে তা শোনা যায়নি বটে, তবে তাঁদের কথোপকথনের, বলা ভালো একজনেরই কথা বলার ধরন ও অঙ্গভঙ্গি দেখে সাফ বোঝাই গিয়েছিল যে, মালিক অগ্নিশর্মা হয়েই দলের অধিনায়ককে ধুয়ে দিয়েছেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। মালিকের অপ্রত্য়াশিত আচরণ নিয়ে বিস্তর চর্চা চলেছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। যদিও পরে 'গালি' বদলে গিয়েছিল তালিতে!