Manika Batra | Paris Olympics 2024: `জাতীয় ক্রাশ` হয়েও মডেলিংয়ে না, ১৯ ভাষায় পারদর্শী! কতটা চেনেন সুন্দরী খেলোয়াড়কে?
মনিকা বাত্রার আজ কোনও বিশেষণের প্রয়োজন নেই। দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট তিনি। ১৯৯৫ সালে দিল্লিতে জন্মানো মেয়ে এখন টেবল টেনিস নক্ষত্র। এই মুহূর্তে তাঁর বিশ্ব ব়্য়াঙ্কিং ২৮। এই প্রতিবেদনে আপনাকে নতুন করে চেনাবে প্যারিস অলিম্পিক্সে পদকের উজ্জ্বল দাবিদারকে।
দিল্লির নারাইনা বিহারে বেড়ে ওঠা মেয়েটি দেখতে দেখতে কেরিয়ারে প্রায় ১৫ বছর কাটিয়ে ফেললেন। খুব অল্প বয়সেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন ব়্য়াকেট। সাফল্যের সিংহাসনে বসেও, বিতর্কের কাঁটায় বারবার বিদ্ধ হয়েছে মনিকা বাত্রার নাম। কপি পেস্ট টুইট হোক বা কোচকে নিয়ে বিতর্ক।
অসাধারণ সুন্দীর, তেমনই উচ্চতা। জীবনে প্রচুর মডেলিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু হাসি মুখে ফিরিয়েছেন মনিকা। মডেলিং তো দূরের কথা, শুনলে অবাক হতে হবে যে, মনিকা মাত্র ১৬ বছর বয়সে সুইডেনের সম্মানীয় পিটার কার্লসন অ্যাকাডেমির স্কলারশিপও ফিরিয়ে ছিলেন শুধু টিটি খেলবেন বলে। এমনকী তিনি কলেজ ড্রপ আউটও!
স্কলারশিপ হেলায় ছাড়া থেকে কলেশ শেষ না করা, এসবই মনিকার জীবনের অঙ্গ। তবুও বিশ্ব টেবল টেনসে মনিকাকে আলাদা করেছে তাঁর ভাষার জ্ঞান। এক-দু'টি নয় ২৯ বছরের মেয়ে ১৯টি ভাষায় পারদর্শী মনিকা। যা অবিশ্বাস্য় বললেও কম বলা হয়। ভাষার দখল শব্দটি নিয়েই মনিকা সম্ভবত খেলা করেছেন।
মনিকার শেকহ্য়ান্ড গ্রিপই তাঁর সাফল্য়ের অন্য়তম চাবিকাঠি। তাঁর খেলার এই স্টাইলই তাঁকে তাঁর সমবয়সীদের থেকে একদম আলাদা করেছে। এই কৌশলটিই মনিকাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্যের সরণিতে হাঁটিয়েছে।
কেরিয়ারে কী না জিতেছেন মনিকা! কমনওয়েলথে জোড়া সোনা, একটি রুপো ও ব্রোঞ্জ। এশিয়াডে ব্রোঞ্জ। এশিয়ান কাপে ব্রোঞ্জ। সাউথ এশিয়ান গেমসে তিনটে সোনা ও একটি রুপো। বাকি শুধু অলিম্পিক্সের পদক গলায় ঝোলানো।
২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে মহিলাদের সিঙ্গল ইভেন্টের তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছিলেন মনিকা। অতীতে এর আগে কোনও ভারতীয় প্য়াডলার অলিম্পিক্সে এতদূর আসতে পারেননি। পদক না জিতেও মনিকা লিখেছেন ইতিহাস।
ধ্য়ানচাঁদ খেলরত্ন ও অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত মনিকা। প্য়ারিস অলিম্পিক্সে নামার আগে বলেছেন যে, অতীতে টোকিয়োতে করা ভুল আর তিনি করতে চান না। বিরাট কোহলির অন্ধভক্ত চান 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'-এ সেরাটাই দিতে। কারণ অলিম্পিক্স পদক ছাড়া যে তাঁর কেরিয়ার অসম্পূর্ণ।