kalipuja 2023: দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মূর্তিরহস্য জানেন? জানলে আজও গায়ে কাঁটা দেবে...
আগে শোনা যাক মূর্তি তৈরির কথা। রানি রাসমণি উপযুক্ত ভাস্কর খুঁজছিলেন মায়ের মূর্তি তৈরি করানোর জন্য। বরাত পেলেন দাঁইহাটের নবীন ভাস্কর।
মূর্তি নির্মিত হলে রানি রাসমণি এলেন। মূর্তি যেন একটু যেন ছোট হয়েছে। আবার নতুন মূর্তি বানাতে বসলেন নবীন। রানি ফের এলেন দেখতে। মূর্তি সুন্দর হয়েছে, কিন্তু এবার দেখা দিল অন্য সমস্যা। এবারের মূর্তি গর্ভগৃহের মাপের থেকে একটু বড় হয়ে গিয়েছে! পুনরায় মূর্তি তৈরি শুরু করলেন নবীন। এবার যে মূর্তি নির্মিত হল, আজও সেই মাতৃমূর্তিরই দর্শন পাই আমরা দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে।
তা হলে নবীন ভাস্কর মোট তিনটি মূর্তি তৈরি করেছিলেন। বাকি মূর্তি দুটি কোথায় গেল?
নবীন ভাস্কর নির্মিত বড় মূর্তিটি হেদুয়ার গুহবাড়িতে নিস্তারিণী কালী নামে পূজিতা হচ্ছেন। আর সবচেয়ে ছোট মূর্তিটি বরাহনগরের দে প্রামাণিক পরিবারে ব্রহ্মময়ী কালী নামে পূজিতা হচ্ছেন।
জানেন কি, এহেন মা ভবতারিণীকে যদি শাড়ি পরানোর ইচ্ছে জাগে আপনার, তবে কবে নাগাদ সে সুযোগ মিলতে পারে? কম করে দশটি বছর। মন্দিরে শাড়ি জমা পড়ার হিসেব অনুযায়ী যে কোনও ভক্তকে কমপক্ষে ১০ বছর অপেক্ষা করতেই হবে, তাঁর শাড়িটি মায়ের মায়ের শ্রীঅঙ্গে ওঠার জন্য!
আসলে প্রতিমাসে কয়েক হাজার শাড়ি আসে মন্দিরে। মায়ের প্রিয় শাড়ি বেনারসী। শোনা যায়, কালীপুজোর দিনটির জন্য বেনারস থেকে বিশেষভাবে নকশা করা শাড়ি আসে।
কালীপুজোর রাতে ভবতারিণীর বহু জাঁকজমকে পুজো হয়। পুজোয় থাকে নানা উপচার। বিশেষ এই দিনটিতে সারাদিন মন্দির খোলা থাকে। বলা হয়, কালীপুজোয় মা ভবতারিণীর দর্শন আপনার ভাগ্য বদলে দিতে পারে!