ত্রিপুরা বিপ্লবের মহা`দেব` কাহিনী
২৫ বছর বাম শাসনের পর এই প্রথমবার ত্রিপুরার ক্ষমতায় বিজেপি। 'শূন্য থেকে সিংসান' লাভের রূপকথার গল্পের নেপথ্য নায়ক যদি হন রাম মাধব এবং সুনীল দেওধর, তাহলে মুখ অবশ্যই বিপ্লব দেব। বছর উনপঞ্চাশের এই 'নওজয়ান'ই সম্ভবত বসতে চলেছেন মানিকের ফেলে আসা মসনদে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী-সহ ১৯ রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শপথ নেবেন ভারতের প্রথম বাঙালি বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রিপুরার গোমতি জেলায় জন্মগ্রহন করেন বিপ্লব দেব। ছোট থেকে বড় হওয়া সেখানেই। এরপর ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে দিল্লি পাড়ি দেন তিনি। সেখানে স্নাকোত্তরের পাঠ চুকিয়ে জিম ইনস্ট্রাকটরের পেশায় যোগ দেন বিপ্লব।
পরে দিল্লির ব্যাঙ্ক কর্মচারী নীতিকে বিয়ে করেন বিপ্লব। এক কন্যা এবং এক পুত্রকে নিয়ে বিপ্লব-নীতি এখন 'হ্যাপি ফ্যামিলি'।
আরএসএস-এর সঙ্গে ত্রিপুরায় থাকতেই যুক্ত থেকেছেন বিপ্লব দেব। পরবর্তীকালে দিল্লি চলে যাওয়ায় কিছুদিনের ছেদ পড়ে রাজনীতিতে। এরপর দিল্লিতে তিনি ফের রাজনীতি শুরু করেন।
এবার তিনি ত্রিপুরায় গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয় এবং রাজ্য সভাপতি। ১৫ বছর পর বাড়ি ফিরে একেবারে ত্রিপুরা জয়।
রাজ্যে দলের একটা স্মার্ট মুখ চাই, একথা অনুভব করেন সুনীল দেওধর। তারপরই ভূমিপুত্র বিপ্লবের ডাক পড়ে নিজের রাজ্যে।
মোদীকে নিজের রাজনৈতিক গুরু মানা এই ৪৯ বছরের যুবক, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলে, তিনিই হবেন এই মুহূর্তে ভারতের দ্বিতীয় বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বর্তমান ভারতে একমাত্র বাঙালি মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।