ইস্ট-ওয়েস্টে মেট্রোর কাজ শুরু অনুমোদন দিল না হাইকোর্ট, ঝুলে রইল প্রকল্পের ভবিষ্যৎ
শ্রাবন্তী সাহা : ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির এখনই অনুমোদন দিতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী শুক্রবার ফের রিপোর্ট দেবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই রিপোর্টের ওপর এই ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ।
প্রসঙ্গত, পুজোর মুখে বৌবাজারে বিপর্যয় ঘটে। মেট্রোর কাজের জেরে ধস নামে বৌবাজারে। একের পর এক ধসে পড়ে বাড়ি। এলাকা ছেড়ে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে এই এলাকার বাসিন্দারা মাথার ছাদ হারায়। ভিটেমাটি হারিয়ে হোটেলে আশ্রয় নিয়ে বাধ্য হয়।
সেইসময় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সুড়ঙ্গের মধ্যেই রেখে দেওয়া হয় টানেল বোরিং মেশিন। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ।
পাশাপাশি, বৌবাজারের পরিস্থিতি, বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে পরিবহন দফতর ও মেট্রোর পক্ষ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি। পরিবহন দফিতরের পক্ষ থেকে আজ সেই রিপোর্ট আদালতে দেওয়া হয়। রিপোর্ট জমা দিয়েছে মেট্রোও।
তবে আজও কাজ শুরু করার অনুমোদন দেয়নি আদালত। এদিন আদালতের কাছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ শিয়ালদহের দিকে থাকা টানেল বোরিং মেশিনটি সরানোর অনুমতি চায়। প্রসঙ্গত, বৌবাজারে যখন বিপর্যয় ঘটে, তখন শিয়ালদহে একটি মেশিন কাজ করছিল। সেই মেশিনটি ঠিক-ই আছে। তাই অন্তত ৫ কিমি সরানো যাবে কিনা, এদিন আদালতের কাছে তার অনুমতি চায় মেট্রো।
সেই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী শুক্রবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেন, "আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানি। সেদিন হলফনামা দিয়ে মেট্রো জানাবে, টানেল বোরিং মেশিন সরানো যাবে কি না।" ফলে এখনও ঝুলেই রইল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভবিষ্যৎ।