কোলাসুরকে বধ করতেই কুমারী রূপ ধরেন মহাকালী!
আজ মহাষ্টমী। আজই কুমারী পুজোর দিন।
অষ্টমীর সকালে কুমারীকে গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করিয়ে শুদ্ধ করে, তাকে লাল বেনারসী পরিয়ে ফুল, গয়না ও পায়ে আলতা দিয়ে সাজান হয়।
শাস্ত্র বলছে, কোলাসুরকে বধ করার মধ্যে দিয়েই মর্ত্যে এই পুজোর সূচনা। দেবতাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে পুনর্জন্মে কুমারী রূপ ধরেন মহাকালী। বধ করেন কোলাসুরকে। সেই থেকে ষোলো বছরের কম অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পুজো শুরু হয় মর্ত্যে।
দার্শনিক তত্ত্ব কিন্তু অন্য কথা বলছে। এক্ষেত্রে কুমারী মেয়ে প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক। সেকারণে কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার পূজা করা হয়।
জনশ্রুতি অনুযায়ী, সেই ভাবনায় ভাবিত হয়েই রামকৃষ্ণদেব নিজের স্ত্রীকে ষোড়শীজ্ঞানে পূজা করেছিলেন। সেই ১৯০১ সাল থেকে চিরাচরিত রীতি মেনে কুমারী পুজো হচ্ছে বেলুড় মঠে।
সারদা মায়ের উপস্থিতিতে স্বামীজি নিজে কুমারী কন্যাকে পুজো করেছিলেন।
নয় ব্রাহ্মণ কন্যাকে পুজোর মধ্য দিয়েই মঠে কুমারী পুজোর রীতি চালু হয়েছিল। এখন অবশ্য আর নয় কন্যার পুজো হয় না।
রীতি মেনে অল্পবয়সী এক ব্রাহ্মণ কন্যার আরাধনা হয়। শোনা যায়, গোটা দেশ থেকে, এমনকি বিদেশ থেকেও কুমারী হওয়ার আবেদন আসে মঠ কর্তৃপক্ষের কাছে।