পর্যটকদের হাতছানি দিচ্ছে কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের কুয়াপানি
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাহাড়ে ঘুরতে এসে পর্যটকরা ভালো খাওয়ারের সমস্যায় পড়েন। সেই ভালো খাওয়ার নিয়ে পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে স্বাদের সম্ভার নিয়ে পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে কুয়াপানি। কুয়াপানি কোন নাম করা পর্যটন কেন্দ্র নয়।তবে লাভা, লোলেগাও, ডেলো যাওয়ার পথে এক শান্ত নিরিবিলি নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা পাহাড়ি গ্রাম।
কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের এই পাহাড়ি গ্রামে গড়ে উঠেছে এক সুন্দর হোম স্টে। মালবাজার শহর থেকে কুয়াপানির দূরত্ব মাত্র ৪০ কিমি।উচ্চতা প্রায় ৫৫০০ ফুট। পাশের রয়েছে নেওরাভ্যালি বনাঞ্চলের বনভুমি। এখনো পরিকাঠামো ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলেও দু একজন পর্যটক এখানে আসছেন।কুয়াপানি থেকে দক্ষিণে চোখ মেললেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ডুয়ার্সের অপরূপ দৃশ্য। চেল, ঘিস, লিস, নেওরার মতো নদী গুলি চোখের সামনে ধরা পড়ে। কিভাবে পাহাড় থেকে বেরিয়ে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে তিস্তায় গিয়ে মিসেছে সেই দৃশ্য দেখা যায়। রাতের বেলায় ডুয়ার্সের বিভিন্ন জনপদের আলোর মেলা দেখা যায়। পাশের বনাঞ্চল এলাকায় রয়েছে এক সুন্দর পথ। সেখানে হেটে ট্রাকিংয়ের অভিজ্ঞতা নেওয়া যেতে পারে। আর উত্তরে দৃষ্ঠি ফেরালেই দেখা মিলবে কুয়াশা ও বরফে ঢাকা সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়া। সকালের কয়াশা কেটে গেলেই অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়। এখানে দেখা হলো পর্যটক তীর্থঙ্কর মজুমদারের সাথে। তিনি জানালেন খুবই সুন্দর জায়গা। এখান থেকে লাভা মাত্র ১৪ কিমি দুরে। সহজেই ঘুরে আসা যায়।ঠান্ডা বেশ ভালোই আছে।
তবে পাহাড়ে ঘুরতে এলে পর্যটকদে মনমতো খাবার পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। এখানে সেটা নেই। হোমস্টের ঘর গুলি ভালো। কয়েকদিন নিরিবিলি থাকার পক্ষে ভালো জায়গা। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে কুয়াপানির নাম এখনো পর্যন্ত পরিচিতি পায় নি। মাত্র একটি হোমস্টে তৈরি হয়েছে। পরিচিত পেলে পর্যটকরা আসবেন। স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে। হোমস্টের কর্নধার প্রতিকৃত চ্যাটার্জি জানান, আমাদের হোমস্টেতে ১০টি ঘর আছে। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ার বানানো হয়। চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল ডিসেরও ব্যবস্থা আছে। রুম ভাড়া ১২০০ টাকা।
এখানের পরিবেশ নিরিবিলি। দেখা গেছে এখানের রুমভাড়া হাতের নাগালের মধ্যেই আছে। কাঞ্চনকন্যা ট্রেনে মালবাজার পৌঁছে ভাড়া গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়।শিলিগুড়ি থেকেও গাড়ি নিয়ে আসা যায়। খানিকটা পয়সা বাচাতে গরুবাথান পর্যন্ত বাসে গিয়ে সেখান থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে শান্ত নিরিবিলি পাহাড়ি পরিবেশে কয়েকদিন কাটাতে কুয়াপানি এক পছন্দের জায়গা।