Lakshmi Puja 2023: সম্প্রীতির লক্ষ্মী! ধনদেবীর আরাধনায় হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের অনন্য নজির সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে
নকিবউদ্দিন গাজি: সুন্দরবনের সোদিয়াল গ্রাম যেন সম্প্রীতির মেলবন্ধনেরই সমার্থক! হয় না দুর্গাপুজো, তাই গ্রামের মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন লক্ষ্মীপুজোর জন্য। আর এই লক্ষ্মীপুজোতে আনন্দে মেতে ওঠে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে। প্রতিটি বাড়ি হয়ে ওঠে আনন্দ মুখরিত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুরের অন্তর্গত সোদিয়াল গ্রাম। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই গ্রামে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের একসঙ্গে বসবাস। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া ও বেড়ে ওঠা।
পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা থেকে মণ্ডপসজ্জা, চাঁদা তোলা সবটাই উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে হাত রেখে করেন। পুজোর সময় উভয় সম্প্রদায়ের বাড়িতেই আসেন আত্মীয়রা। পুজো উপলক্ষে নানারকম অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এবারের লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি হয়েছে লংকা দিয়ে। আর এই প্রতিমাকে ঘিরে গ্রামের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ এক হয়ে একজোট হয়ে পুজোর কটা দিন আনন্দ মেতে ওঠেন। এবছর পুজোর শুভ সূচনা করেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
পুজোর সভাপতি বাপি হালদার বলেন, "আমাদের সোদিয়ালে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজা এবার ১৭ বছরে পা রাখল। এই পুজো সোদিয়াল গ্রামের হিন্দু-মুসলিমরা মিলে করে আসছে। কারণ এখানে কোনও দুর্গাপুজো সেভাবে হয় না। তাই জাঁকজমক করে লক্ষ্মীপুজো করা হয়।"
তিনি জানান, "এবারের পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ হল লংকা দিয়ে তৈরি মা লক্ষ্মীর প্রতিমা। সেই সঙ্গে হোগলা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মণের শক্তিশেল। মণ্ডপের চারিদিকে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।"
পুজো উদ্যোক্তা তাম্বিচ আহমেদ বলেন, "এই গ্রামের ঐতিহ্য হিন্দু-মুসলিম ঐক্য। একসঙ্গে থাকা। একসঙ্গে খাওয়া। একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা। আর পুজোকে ঘিরে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের আনন্দে মেতে ওঠা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এই পুজো নজির।"