Lakshmi Puja: বন্যা-নিবারণের প্রার্থনায় শুরু হওয়া পুজো হয়ে গেল রাজ্যের বৃহত্তম লক্ষ্মীপুজো!
ছোট-বড় ক্লাব ও বাড়ি মিলিয়ে এখানে কয়েকশো পুজো হয়। এত ধুমধাম করে রাজ্যের অন্য কোথাও এরকম ভাবে লক্ষ্মীপুজো হয় না। দুর্গাপুজোকে বাঙালির সবচেয়ে বড় পুজো ধরা হলেও এখানে লক্ষ্মীপুজোই সবচেয়ে বড় পুজো।
এই গ্রামের লক্ষ্মী পুজো রাজ্যের মধ্যে সর্ববৃহৎ। বিভিন্ন রকমের বারোয়ারি ক্লাবের থিমের পুজো থেকে শুরু করে ঘরোয়া পুজো হয়। এবারে বেশিরভাগটাই থিমের পুজো-- কোথাও বদ্রীনাথের মন্দির, কোথাও জঙ্গলবুক, কোথাও চন্দ্রযান, কোথাও সহজপাঠ!
এই পুজো দেখার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গাইড ম্যাপও প্রকাশ করা হয়।
দুর্গাপুজোর মতো লক্ষ্মী পুজো এখানে চারদিনের। দূর দূরান্ত থেকে কত মানুষজন এখানে আসা-যাওয়া করেন। লক্ষ্মীপুজোর সময়ে জমজমাট থাকে খালনা। আলোয় সেজে ওঠে গোটা গ্রাম।
কর্মসূত্রে যে যেখানেই থাকুক লক্ষ্মী পুজোর সময়ে গ্রামে ফিরে আসেন। ক্লাব সার্বজনীন ছাড়াও গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই লক্ষ্মীর আরাধনা হয়।
গ্রামের মানুষরা এখানকার লক্ষ্মী পুজো শুরুর পিছনে একাধিক কারণের কথা বলেন। তাঁদের মতে, পশ্চিম খালনা ও দক্ষিণ খালনার মানুষরা সোনা ও লোহার ব্যবসা করতেন। ব্যবসা করে যথেষ্ট প্রতিপত্তি করেন তাঁরা। তাই তাঁরা তাঁদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো জাঁকজমক ভাবে করতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে সেই সব পুজোই সার্বজনীনের রূপ নেয়।
আবার জানা যায়, এক সময়ে ফি বছর বন্যার কারনে এখানে ফসল নষ্ট হয়ে যেত। তখন ওখানকার মানুষজন বন্যা বন্ধের কামনা করে লক্ষ্মীর আরাধনা শুরু করলেন। সেই থেকেই হয়ে আসছে জয়পুরের খালনার লক্ষ্মীপুজো।